জাতীয়

রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ : চতুর্থ দফায় জমির সন্ধানে সরকার

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য এ পর্যন্ত তিনবার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় জনগণের আপত্তির মুখে তা বাতিল করতে হয়েছে। চতুর্থ দফায় জমি দেখা হলেও তা নিয়েও চলছে দীর্ঘ সূত্রিতা। এ বিষয়ে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সম্প্রতি জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।বৈঠকে জানানো হয়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় নতুন একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের লক্ষ্যে কাউখালী উপজেলায় ৩০ একর জমির তফসিল অনুমোদন করা হয়। স্থানীয় জনগণের আপত্তির মুখে সেই জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ৩০ দশমিক ৩৯ একর জমির তফসিল অনুমোদন করা হয়। সেখানেও আপত্তি জানায় স্থানীয় জনগণ। এরপর আবারো কাউখালী উপজেলায় ২৬ দশমিক ২৪ একর জমির অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানেও মেডিকেল কলেজ স্থাপনে জটিলতা দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক ৪ সদস্যের স্থান নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি ইতোমধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করে সদর উপজেলায় আরেকটি স্থান নির্ধারণ করেছে। এ বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, স্থানীয় জনগণের প্রবল আপত্তির কারণে এই মেডিকেল কলেজ স্থাপনে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি এবং চুক্তি অনুযায়ী প্রণীত বিধি-বিধানকে পাশ কাটিয়ে সরকার একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মেডিকেল কলেজ স্থাপনের নামে কার্যতঃ সরকার নতুন করে জুম্ম জনগণকে ভূমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে।এদিকে বৈঠকে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত পার্বত্য জেলার দুইজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া পার্বত্য এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে বৈঠকে।কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, এম আবদুল লতিফ ও এম এ আউয়াল এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এইচএস/আরএস/এমএস

Advertisement