ঈদের ছুটি শেষ। ইতোমধ্যে খুলেছে ব্যাংক, বিমা, অফিস, আদালত। ঈদের আমেজ শেষ না হতেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। তাই রেল স্টেশনগুলোতে বাড়ছে কর্মব্যস্ত নগরী ঢাকা ফেরা মানুষের ভিড়। সোমবার ঈদের চতুর্থ দিন কমলাপুর স্টেশনের দেখা গেছে এমন চিত্র।রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকামুখী প্রতিটি ট্রেনই ফিরেছে যাত্রীভর্তি হয়ে। আসনধারী যাত্রীর পাশাপাশি প্রায় সমানসংখ্যক দাঁড়ানো যাত্রীও ফিরছে এসব ট্রেনে। তবে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না হওয়ায় সহজেই রাজধানীতে আসতে পারছেন তারা। ট্রেন পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হলেও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরে আসতে পারায় খুশি কর্মজীবীরাও।সোমবার ভোর থেকেই ট্রেনের ভেতরে-বাইরে, দাঁড়িয়ে-বসে যেভাবে পারছে ঢাকায় ফিরে আসতে দেখা গেছে যাত্রীদের। ভোর ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১০টি ট্রেন ঢাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রতিটি ট্রেনই ৩০ থেকে ৪০ মিনিট দেরি করেছে। কোনোটি আবার দেড় ঘণ্টাও দেরি করতে দেখা গেছে। আর ঈদের সময় ২০-৩০ মিনিট বিলম্বকে স্বাভাবিক মনে করছে রেল কতৃপক্ষ।ঢাকায় ফেরা যাত্রী একরামুল জাগো নিউজকে বলেন, স্বল্প সময়ের জন্য হলেও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় পৌঁছেতে পেরেছি, তাই ভালোই লাগছে। আমি দিনাজপুর থেকে একতা এক্সপ্রেসে ঢাকায় এসেছি। আরো দেড়ঘণ্টা আগে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি দেরিতে ছেড়েছে। তবে দেরি হলেও আসতে সমস্যা হয়নি। ট্রেনে ভিড় ছিল। অনেকে দাঁড়িয়ে এসেছে।এ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের চতুর্থদিনও ট্রেনের শিডিউলে কোনো বিপর্যয় হয়নি। কয়েকটি ট্রেন বিলম্বে ছাড়ার কারণে ২০ মিনিট বা আধা ঘণ্টা দেরিতে স্টেশনে পৌঁছাচ্ছে। আর ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় মাল ওঠা-নামাসহ বিভিন্ন কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়, এটা স্বাভাবিক। আর যাত্রীদের সুবিধার্থে সব ট্রেনে অতিরিক্ত বগি লাগানো হয়েছে। ফিরতি যাত্রীদের জন্য বিশেষ ট্রেন সার্ভিস পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।সকাল ১০টায় কমলাপুর স্টেশনে দেড় ঘণ্টা দেরিতে দিনাজপুর থেকে আসা একতা এক্সপ্রেস সম্পর্কে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ট্রেনটি দেরিতে ছাড়ায় কারণে ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য ট্রেনগুলো যথাসময়ে ঢাকা এসেছে।এসআই/আরএস/এমএস
Advertisement