নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় এক কৃষকের সাড়ে পাঁচ বিঘা জমির ধান কীটনাশক দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে জমির সব ধান পুড়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে।
Advertisement
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের রহট্টা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলামের জমির ধান নষ্ট করা হয়েছে। এ ঘটনার পর আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন অন্য কৃষকরা।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রফিকুল ইসলাম শনিবার (১৬ নভেম্বর) একই গ্রামের আব্দুল খালেক, লাবলু, মকলেছুর রহমান, হানিফ, মোরশেদ, আজিজুল, বেলাল ও ইসমাইলের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কৃষক রফিকুল ইসলাম পাঁচ বিঘা জমিতে চিনি আতপ ধানের আবাদ করেছেন। কিছুদিন পর ধান ঘরে উঠার কথা। কিন্তু পাকার আগেই রহট্টা গ্রামের মাঠের সেই ধান কীটনাশক প্রয়োগ করে পুড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক দেয়ায় সাড়ে পাঁচ বিঘা জমির ধান পুড়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। ধান বিক্রি করে এনজিওর টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল রফিকুলের। কিন্তু দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে কীটনাশক দিয়ে কৃষকের স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে।
Advertisement
কৃষকরা বলছেন, কয়েক দিন পর সোনালী ধান ঘরে ওঠার কথা। এরই মধ্যে ধানে কীটনাশক দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মানুষের সঙ্গে শত্রুতা থাকতেই পারে। কিন্তু সেজন্য ধান পুড়িয়ে নষ্ট করা মানুষের আচরণ হতে পারে না। যারা এ অন্যায় করেছে তাদের শান্তি হওয়া উচিত।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার ক্ষেতে গিয়ে দেখি ধানগুলো চক চক করছে। সূর্যের আলো পড়ায় ধানের রং আরও বেশি চক চক করছিল। এ অবস্থায় ধানে হাত দিয়ে দেখি সবগুলো চিটা হয়ে গেছে। বিকেল নাগাদ জমির সব ধান গাছ পুড়ে যায়। প্রতিপক্ষরা অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক দিয়ে এমন কাজ করেছে।
তিনি বলেন, ধান ঘরে ওঠার পর বিক্রি করে এনজিওর টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু সব ধান পুড়ে শেষ। এখন ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। যারা আমার এ ক্ষতি করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায় বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করা হয়েছে। অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক দেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
মহাদেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আব্বাস আলী/এএম/এমএস