আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের লোহাগড়ায় দুই গ্রুপের সংর্ঘষে গুলিতে ইকবাল সমাদ্দার (২৫) নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইকবাল কোটাকোল গ্রামের রূপাই সমাদ্দারের ছেলে। এসময় পাঁচজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শর্টগানের ৫৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন হিমুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে হিমু পক্ষের ইকবাল নিহত এবং অন্তত পাঁচজন আহত হন। আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হেমায়েত হোসেন হিমু অভিযোগ করে জাগো নিউজকে জানান, প্রতিপক্ষ খান জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন তাদের ওপর শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এ গুলিতে তার লোকজন হতাহত হন। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন। লোহাগড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিমুল জাগো নিউজকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৫৬ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে।পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।হাফিজুল নিলু/এমজেড/এমএস
Advertisement