বিশ্বের এক নম্বর ঘাতক রোগ হৃদরোগ ও স্ট্রোকসহ কার্ডিওভাসকুলার রোগে বছরে সারাবিশ্বে ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহে কার্ডিওভাসকুলার রোগে বছরে ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।তবে আশার বাণী হচ্ছে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ধূমপান এবং মাদক পান না করার মতো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ ধরনের অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করা যেতে পারে। হু’র দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং এসব কথা বলেছেন।‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে’ পালন উপলক্ষে এক বাণিতে তিনি সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকতে কাজ করা ও নিয়মিত খেলাধুলা করার মতো স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকার ও সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। হার্টবান্ধব পরিবেশ বলতে তিনি স্বাস্থ্যকর খাবারের সহজলভ্যতা, ধূমপানমুক্ত জোন গড়ে তোলা এবং শরীর চর্চা কেন্দ্র স্থাপন করার কথা বলেছেন।বাংলাদেশে নিযুক্ত হু’র প্রতিনিধি ড. এন পারানিয়েথারান বলেছেন, বাংলাদেশে ৭০ বছর বয়সের নিচে প্রতি এক লাখ পুরুষ মানুষের মধ্যে ১৭৯ জন এবং প্রতি এক লাখ মহিলার মধ্যে ১৫২ জন কার্ডিওভাসকুলার রোগে (সিভিডি) মারা যায়। উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগের ঝুঁকি কমাতে বিশুদ্ধ ফল ও শাকসবজি খাওয়া এবং খাবারে কম লবণ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের কার্যকর ব্যবহার এবং এ কাজে অন্যান্য সেক্টরকে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। হু ২০২৫ সালের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুহার ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এবং এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য একটি আঞ্চলিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।উল্লেখ্য, হৃদরোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে’ পালিত হয়।আরএস/এমএস
Advertisement