অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।
Advertisement
মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুপুর ১২টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে একটি টিম।
গত ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সেলিম প্রধানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Advertisement
সূত্রে জানা গেছে, ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপরই ৩১ অক্টোবর সেলিম প্রধানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর শুনানি করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ এবং বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও হরিণের চামড়া জব্দ করা হয়। হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় ওই দিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সেপ্টেম্বরে শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা করে দুদক। ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূইয়া, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ এবং যুবলীগের দফতর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান এবং কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান ও যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করে দুদক।
Advertisement
এফএইচ/জেএইচ/পিআর