কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে পুলিশ পাহারায় নোমারুন রশীদ (৩৫) নামে এক আসামি চিকিৎসাধীন অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। গত শুক্রবার মধ্যরাতে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাদক মামলার আসামি নোমারুনকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। পরে পুলিশের কাছে হাতকড়া রেখে সে পালিয়ে যায়। তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানা যায়, গত ঈদের দিন শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রৌমারী-রাজীবপুর সড়কের জালচিরা বাঁধ নামক স্থান থেকে ৪০ বোতল ফেনসিডিল এবং একটি মোটরসাইকেলসহ মাদক ব্যবসায়ী মাসুুদ আলম (৩০) ও নোমারুন রশীদকে (৩৫) গ্রেফতার করে রাজীবপুর থানা পুলিশ। আটকের পর আহত নোমারুন রশীদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় দুজন পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল করিম ও ছামসুল আলম পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু আহত নোমারুন রশীদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পুলিশ অপর আসামি মাসুদ আলমকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পুলিশ উৎকোচের বিনিময়ে থানা থেকে মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেয়। এছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসামিকে পালাতে সহযোগিতা করে। কেননা হাসপাতালে নোমারুন রশীদ হাতকড়া অবস্থায় ছিল। হাতকড়া খুলে তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক। পরে এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই পুলিশকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে রাজীবপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মাইদুল ইসলাম হাছান জানান, মোটরসাইকেলটি প্রকৃত মালিকের কাছে থানা থেকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন জানান, কনস্টেবল আব্দুল করিম ও ছামসুল আলমকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশি পাহারায় আসামি কিভাবে পালিয়ে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এমএএস/পিআর
Advertisement