দেশজুড়ে

উল্লাপাড়ায় ট্রেনে নাশকতা না দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, উল্লাপাড়ার ট্রেন দুর্ঘটনায় নাশকতার কোনো আলামত রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০১৩-১৪ সালে এ অঞ্চলে ট্রেন পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তেমনই কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি আমাদের ভাবাচ্ছে।

Advertisement

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কুয়াশা বা অন্য কোনো কারণে দুর্ঘটনা হতে পারে। কিন্তু এখানে তো মিটারগেজের লাইন একটাই। এ লাইন দিয়ে মিটারগেজ ট্রেনই যাবে। এখানে স্টপেজ বা ক্রসিংয়েরও কোনো ব্যাপার ছিল না। এখানে ডিটেইলমেন্টটা হওয়ার কোনো কথা নয়। লাইন ক্লিয়ার দেয়ার ব্যাপারে কারও কোনো গাফিলতি আছে কি-না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পয়েন্টম্যানের দায়িত্বে থাকা দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি, এরা অর্ধেক কাজ করে খাওয়ার জন্য গিয়েছিল। এ ধরনের একটা অভিযোগও রয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইঞ্জিনের তেল থেকে আগুন লাগতে পারে। কিন্তু অন্য বগির ভেতরে কীভাবে আগুন লাগলো, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কি-না সেটাও তদন্ত করে দেখা হবে।

Advertisement

উল্লাপাড়ার পর দুটি ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতুর ও রেল লাইনের ব্যাপারে রেলমন্ত্রী বলেন, জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত এখানে ডাবললেন করা হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। তবে সেটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে দ্রুত সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ রেলসড়ক সংস্কারের আশ্বাস দেন তিনি।

পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কখনো কখনো রেলপথের নাটবল্টু চোরের দল খুলে নিয়ে যায়। যে কারণে রেলপথ দুর্বল হয়ে পড়ে। আর এই রেল পথের দুর্বল ব্রিজগুলো শিগগিরই মেরামত করা হবে।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে রেল সচিব মোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ, উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুজ্জামান ও পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার সকালে ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই রেল শ্রমিককে (ওয়েম্যান) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিআরপি পুলিশ আটক করে। আটকরা হলেন- শ্রমিক (ওয়েম্যান) আব্দুর রাজ্জাক ও আরিফুল ইসলাম। তারা দুর্ঘটনার দিন উল্লাপাড়া রেলপথে ডুলেট গ্রেজ লাইনের মেরামত করেন। লাইন মেরামতে তাদের অবহেলা বা ত্রুটি ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আরএআর/পিআর