‘চকচক করলেই সোনা হয় না’, আবার গায়ের রং কালো বলে সব কালো রংয়ের পাখিকে ‘কাক’ বলা যাবে না। কারণ কোকিলেরও গায়ের রং কালো। তাই কোনো দেয়ালে গেরুয়া রং দেখলেই তাকে মন্দির ভাবার কোনো সুযোগ নেই। হতে পারে সেটি একটি শৌচাগার।
Advertisement
এতক্ষণ এত কিছু বলার মানে হলো-ভারতে একটি শৌচাগারের রং গেরুয়া বলে তাকে মন্দির ভেবে একবছর ধরে প্রণাম করে আসছে একটি পুরো গ্রামের লোকজন। একবছর পর জানা গেছে, ওটা আসলে মন্দির ছিল না, শৌচাগার!
ভারতের উত্তরপ্রদেশের মৌদহ গ্রাম এই ঘটনা ঘটেছে।
ওই গ্রামে রাস্তার ধারে একটি ঘর রয়েছে। যার বাইরের দেয়ালের রং গেরুয়া। দীর্ঘদিন ধরে ওই ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, রং যখন গেরুয়া, তখন দেয়ালের ওপারে নিশ্চয়ই কোনো দেবতার বসবাস আছে! তাই বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে হাতজোড় করে প্রণাম করেন তারা। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে প্রার্থনাও করেন! তাও এক দুই দিন নয়, পুরো এক বছর!
Advertisement
ওই গ্রামের বাসিন্দা রাকেশ চান্দেলের ভাষ্য, ‘এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছেই অবস্থিত এই ঘরটি। দেয়ালে গেরুয়া রং তো বটেই, ঘরের ওপরের অংশটিও দেখতে মন্দিরের মতোই। তাই বাসিন্দারা ধরেই নিয়েছেন, এটি মন্দির। ভিতরে কী আছে, জানার চেষ্টা করিনি আমরা। সম্প্রতি এক অফিসার এসে বলেন, এটি আসলে একটি শৌচাগার।’
জানা গেছে, বছরখানেক আগে ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের অংশ হিসেবে এই গ্রামে তৈরি হয়েছিল শৌচাগারটি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেটি বন্ধ।
মৌদহ নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান রাম কিশোর বলেন, ‘নগর পালিকা পরিষদ এই শৌচাগারটি তৈরি করেছিল। কনট্রাক্টর এটি গেরুয়া রং করে দেয়। আর সেখান থেকে যত ধন্দের সূত্রপাত।’
তবে গ্রামবাসীরা যাতে আর এই ঘরের দরজার সামনে এসে মাথা নত না করেন, সে কারণে শৌচাগারের রং বদলে গোলাপি করে দেয়া হয়েছে এবং সেটি এখনও তালাবন্ধ।
Advertisement
ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, যোগীর রাজ্যে সাড়ে তিনশো শৌচাগারের মধ্যে একশোটির রংই গেরুয়া।
এসআর/পিআর