ড্রিউ ব্যারিমোর, ক্যামেরন ডিয়াজ ও লুসি লিউ। হলিউডের তুমুল জনপ্রিয় তিন নায়িকা। ২০০০ সালে তারা এক সিনেমায় হাজির হয়ে চমক দেখিয়েছিলেন ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস’ সিনেমায়। এখন তিন সুন্দরীর ওপরই পড়েছে বয়সের ছাপ।
Advertisement
তাই সেই ছবির সিক্যুয়েলে তাদের স্থান দখল করেছেন নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় তিন তারকা। ছবিতে দুধর্ষ তিন সুন্দরীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট, নওমি স্কট ও এলা বালিন্সকা। ছবিটি পরিচালনা করেছেন আরেক মেধাবী অভিনেত্রী ও পরিচালক এলিজাবেথ ব্যাংকস।
এর আগে ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস’ ছবিটি দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। নতুন করে আবারও বক্স অফিস বাজিমাত করার স্বপ্ন দেখছেন পরিচালক এলিজাবেথ। ছবির চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি, সঙ্গে আছেন জয় বসু।
এলিজাবেথ তার ছবিটি নিয়ে বলেন, ‘নারী চরিত্রকেও যে ক্ষমতা ও শক্তির উৎস হিসেবে দেখানো যেতে পারে, এটা সত্তরের দশকে চার্লিস অ্যাঞ্জেলস টিভি সিরিজ দেখে শিখেছিলাম। আমি খুব রোমাঞ্চিত নতুন চার্লিস অ্যাঞ্জেলস-এর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে। ক্রিস্টেন, নওমি ও এলার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সত্যিই দারুণ।’
Advertisement
১৯৭৬ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস’ ছিলো টেলিভিশনের জনপ্রিয়তম সিরিজ। ২০০০ সালে এটি বড় পর্দায় উঠে আসে। ২০০৩ সালে আসে সিক্যুয়েল ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস: ফুল থ্রটল’। এরপর দীর্ঘ বিরতি। প্রায় ১৬ বছরের বিরতি ভেঙ্গে আবারও সিনেমার পর্দায় আসছে ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস’।
আগামী ১৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস’র নতুন এই সিক্যুয়েল।
নতুন এ চলচ্চিত্রে দেখা যাবে, এখন থেকে ৪০ বছর আগে তিনজন অ্যাঞ্জেলকে নিয়ে চার্লিজ যে টাউনসেন্ড এজেন্সি শুরু করেছিলেন, তা এখন বিশ্বব্যাপী গুপ্তচর কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে। চার্লিজ ও তার অ্যাঞ্জেলরা সবসময় ব্যক্তিগত ক্লায়েন্টদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছেন ও তদন্ত করছেন। তাদের টাউনসেন্ড সংস্থা বিশ্বব্যাপী স্মার্ট, নির্ভীক ও প্রশিক্ষিত নারীদের দল গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে রয়েছে।
পরামর্শদাতা বোসলের কথামতো বিশ্বের কঠোরতম মিশনগুলো সম্পন্ন করছে অ্যাঞ্জেলসের দল। এখানে বোসলের চরিত্র রূপদান করেছেন ব্যাঙ্কস নিজে। ছবিটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী তিনি। দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণের সব আয়োজনই আছে এ ছবিতে। তাই দর্শকরা তাকে হতাশ করবেন না বলে বিশ্বাস তার।
Advertisement
এলএ/এমকেএইচ