ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ স্টেশনে সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির ভেতর ও বগির নিচ থেকে উদ্ধারকর্মীরা একের পর এক মরদেহ বের করে আনছিলেন। পরে সেগুলো স্টেশনের অদূরে বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে রাখা হয়। ওই বিদ্যালয়ের বারান্দায় যখন দীর্ঘ হচ্ছিল মরদেহের সারি, তখন তাদের পরিচয় বের করাটাই দুরূহ ছিল।
Advertisement
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের কথায় বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটে যান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সদস্যরা।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিহতদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে তাদের সার্ভারে আপলোড করা হয়। এরপর সেই সার্ভার থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভারে যুক্ত হলে একে একে বের হয়ে আসে নিহত অধিকাংশের নাম-ঠিকানা। এরপর স্বজনদের কাছে পাঠানো হয় তাদের মৃত্যুর খবর।
পিবিআইর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, জেলা পুলিশ সুপার তাদের (পিবিআই) ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বলার পর তারা টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিহতদের হাতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পিবিআইর সার্ভারের মাধ্যমে এনআইডির সার্ভারে পাঠানো হয়। যারাই সঠিকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র করেছেন তাদের আঙ্গুলের ছাপ মিলে যাওয়ায় দ্রুত নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়।
Advertisement
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন সিগনাল অমান্য করায় মন্দবাগ স্টেশনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এ ট্রেনদুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনেরই পরিচয় জানা গেছে। ইতোমধ্যে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন।
আজিজুল সঞ্চয়/এমএমজেড/জেআইএম