প্রবাস

মালয়েশিয়ায় নতুন বীমার আওতায় দুই লাখেরও বেশি বাংলাদেশি

মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন বীমার আওতায় নিবন্ধিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। এর আওতায় দুই লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী নিবন্ধিত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ প্রক্রিয়ায় দেশটির সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার (সকসো) অধীনে কর্মীদের নাম নিবন্ধন করা হচ্ছে।

Advertisement

এদিকে দেশটিতে কর্মরত বৈধ বাংলাদেশি কর্মীদের শতভাগ বীমার আওতায় নিয়ে আসতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা নিরলস চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য নিয়োগকর্তা এবং সাকসোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে অগ্রগতি ফলোআপ করছেন দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং বাংলাদেশে ওয়েজ অর্নাস ওয়েল ফেয়ার বোর্ডের সহযোগিতায় বেনিফিট প্রদান করবে মালয়েশিয়ার সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশন। তাই গত ২৩ অক্টোবর প্রবাসী কল্যাণ বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ার সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে মালয়েশিয়ার পক্ষে সকসোর ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইনকিক জন রিবা অনাক মারিনের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উপ-সচিব মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলার মো. জহিরুল ইসলাম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের প্রোগ্রামার পাপ্পু মজুমদার ও দূতাবাসের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার মি. সিলভা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় কর্মরত বিদেশি কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন বিধান চালু করার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটির মন্ত্রিপরিষদ। ওইদিনই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সে-দেশের মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সে-দিন মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার অধীনে এই ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। সেই মোতাবেক কর্মরত বিদেশি কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন বিধানের আওতায় কোম্পানির মালিকপক্ষ তাদের বিদেশি কর্মীদের বীমার আওতায় নিববন্ধন শুরু করেছেন।

Advertisement

এর আগে মালয়েশিয়ার সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার অধীনে শুধু স্থানীয় নাগরিকরাই এ সুবিধা পেতেন। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কর্মস্থলে দুর্ঘটনার পরিমাণ কমাতেই এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এটি সফল বাস্তবায়ন হলে নিয়োগকর্তারা বিদেশি কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও সচেষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান বলেলেন, বিদেশি কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে নিবন্ধন করতে হবে এবং কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা আইন ১৯৬৯ (অ্যাক্ট-৪) এর আওতায় আনতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, এতে কর্মসংস্থানে ক্ষতির পরিকল্পনার অধীনে চিকিৎসা সুবিধা, অস্থায়ী কর্ম অক্ষমতা সুবিধা, স্থায়ী অক্ষমতা সুবিধা এবং পুনর্বাসন সুবিধার পাশাপাশি প্রত্যাবাসন খরচের সুবিধা দেয়া হবে।

জেডএ/এমকেএইচ

Advertisement