রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায় ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি (বর্তমানে তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজ) চত্বরে প্রায় ৩শ` বছরের পুরানো একটি গাছের নাম আজো কেউ জানে না। নাম না জানার কারণে এই গাছটি ‘অচিন বৃক্ষ’ নামেই স্থানীয়দের কাছে কালের স্মৃতি বহন করে চলছে।জানা গেছে, বারো ভূঁইয়ার অন্যতম রাজা কংশ নারায়ণ রায়ের রাজবাড়ির ভিতরে কলেজ মসজিদ সংলগ্ন বিশালাকৃতির এই গাছটির নাম এখনো কেউ শনাক্ত করতে পারেননি। নাম না পাওয়ার কারণে এলাকাবাসী এটিকে ‘অচিন বৃক্ষ’ বলে নামকরণ করেছে।স্থানীয় প্রবীনরা জানান, গাছটির সঠিক নাম এখনো বের করা যায়নি। এর ফল ও ফুল বট গাছের মত, যা পাখিদের খুব প্রিয় খাবার। কলেজ ক্যাম্পাসে এটি অচিনতলা নামে পরিচিত লাভ করেছে।তারা জানান, ১৯৬৭ সালে রাজা কংশ নারায়ণের রাজাবাড়ির ধ্বংস স্তুপে তাহেরপুর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই আজ পর্যন্ত গাছটির পরিচর্যা করে আসছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। নানা সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে গবেষকরা এসেছেন গাছটির সঠিক নাম বের করার জন্য। কিন্তু কেউ সঠিক নাম বের করতে পারেনি।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিভাগের অধ্যপক ড. নাদিরুজ্জামান সরেজমিনে এসে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিরল প্রজাতির এই গাছটির সঠিক নাম বের করতে পারেননি।কালের সাক্ষী হয়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে আজো দাঁড়িয়ে আছে এ গাছটি। দীর্ঘদিনের স্মৃতি ধরে রাখতে ৩শ’ বছরের পুরানো এই গাছটির রক্ষণাবেক্ষণ অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।আএসএস/এসকেডি/এমএস
Advertisement