কুরআনুল কারিমের সর্ববৃহৎ ও দ্বিতীয় সূরা ‘সূরাতুল বাক্বারা’র ৪৫ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা দু’টি কষ্ট সাধ্য কাজের কথা উল্লেখ করেছেন। এ কাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন সহজ হয়। যার ফলাফল অত্যন্ত সুখময় এবং কল্যাণে ভরপুর। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-আল্লাহ বলেন-وَاسْتَعِينُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلاَّ عَلَى الْخَاشِعِينَ - الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلاَقُو رَبِّهِمْ وَأَنَّهُمْ إِلَيْهِ رَاجِعُونَ অর্থাৎ ‘ধৈর্য্যের সঙ্গে সাহায্য প্রার্থনা কর এবং নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। ‘যারা একথা খেয়াল করে যে, তাদেরকে সম্মুখীন হতে হবে স্বীয় পরওয়ারদেগারের এবং তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে ’ (সূরা আল-বাক্বারা : আয়াত ৪৫-৪৬)জীবন সংগ্রামে সাফল্যের জন্য নামাজের গুরুত্ব অনেক। কেননা নামাজ হলো আল্লাহ তাআলা ও বান্দার মধ্যে সেতু বন্ধনের অন্যতম মাধ্যম। পাশাপাশি জীবন সমস্যার সমাধানকল্পে সবরের তাগিদ করা হয়েছে। সুতরাং দুনিয়াতে যদি কোনো ব্যক্তি অত্যধিক সবর অবলম্বনের গুণ প্রাপ্ত হয়, তবে মনে করতে হবে, তাঁকে সবচেয়ে উত্তম এবং ব্যাপকতর নিআমত প্রদান করা হয়েছে। কেননা সবরের তাৎপর্যই হচ্ছে নিজেকে অন্যায় কাজ থেকে তথা আল্লাহ পাকের অবাধ্যতা থেকে বিরত রাখা। বিপদে ধৈর্য ধারণ করা। সবরের মতো নিআমত লাভে কঠিন বিপদের সময়ও তার বাস্তবায়ন তথা ধৈর্য ধারণ করা।পরিশেষে....আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসলমানকে সবর তথা ধৈর্য ও নামাজের প্রতি অত্যধিক গুরুত্ব দেয়ার তাওফিক দান করুন। কুরআন ও হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : jagoislam247@gmail.comজাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement