জাতীয়

রাজধানীতে ফিরেই ভাড়া বিড়ম্বনা

ঈদ আনন্দ শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে গ্রামে ছুটে যাওয়া মানুষ। তবে রাজধানীতে ফিরে আসা অধিকাংশ মানুষই পড়েছেন বিড়ম্বনায়। বাস থেকে নামার পর গন্তব্যে পৌঁছাতে বাস, সিএনজি কিংবা রিকশা ডাকলেই চাওয়া হচ্ছে গলা কাটা ভাড়া।ঈদের ছুটি শেষ হলেও বকশিসের আবদারে বিরক্ত অনেক যাত্রীকেই তাই দেখা গেছে বাক বিতণ্ডায় জড়াতে। রোববার সকালে রাজধানীর কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনাল সরেজমিনে ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।বাস কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উদযাপনে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষ আবারো ফিরে আসছেন। রোববার ভোরবেলা থেকেই বিভিন্ন রুটে রাজধানীতে ফিরে আসছেন তারা।ছোট-বড় লাগেজ নিয়ে নাবিল পরিবহনের বাস থেকে গাবতলীতে নামেন দিনাজপুর থেকে আসা আসলামুদ্দৌলাহ।তিনি জানান, বাস থেকে নেমেই বিপত্তিতে পড়েছি। আমার লাগেজ নিয়ে দুইজনের টানাটানি। প্রথমে তো মনে হয়েছে ছিনতাইকারীর কবলে বুঝি পড়লাম। পরে বুঝলাম ওরা লেবার। সেখান থেকে রেহাই পেলেও রিকশার গলাকাটা ভাড়া থেকে কোনোভাবেই রেহাই মিললো না।তিনি জানান, গাবতলী থেকে আদাবর থানাধীন মনসুরাবাদ যাবো এরপর ভাড়া লেগুনায় সর্বোচ্চ ১০ টাকা। লাগেজ থাকায় রিকশা নিতে হচ্ছে। কিন্তু রিকশাওয়ালা ১৫০ টাকার নিচে যাবে না। অগত্যা বেশি ভাড়ায় যেতে হচ্ছে।গাবতলী থেকে টেকনিক্যাল পর্যন্ত বড় ব্যাগ টেনে অনেকটা বিরক্ত নওগার যাত্রী আরিফ স্বস্ত্রীক অনেকটা বিব্রতও বটে। সিএনজি ডেকে যেন মহাভারত অশুদ্ধ করেছেন তিনি। ভাড়া নিয়ে এক পর্যায়ে সিএনজি চালকের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায় তাকে।পরে তার সঙ্গে কথা হলে জানান, আরে ভাই বিরক্ত হয়ে গেলাম। যাবো ধানমন্ডি। ভাড়া সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। কিন্তু ভাড়া চাচ্ছে এখান থেকে সাড়ে ৩ শ’ টাকা।চালক বলে কিনা সিএনজি স্টেশন নাকি বন্ধ। গ্যাস নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। তার উপর ঈদ। এসব কথা বলে বেশি ভাড়া চাচ্ছিল। কি আর করা বাকবিতণ্ডা করে ৫০ টাকা কমিয়ে গন্তব্যে রওয়ানা দেন তিনি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের ঈদে রাস্তায় অসহনীয় যানজট দেখা দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছিল ঘরমুখো মানুষ। তবে ঈদ উপযাপন শেষে যারা আসছেন তারা যানজটের দুর্ভোগে না পড়লেও ঢাকায় পৌঁছার পর বাসা পর্যন্ত যেতে পড়েছেন গলা কাটা ভাড়া বিড়ম্বনায়।বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। একই অভিযোগ সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও রিকশায় একই ভাবে বেশি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে।এ ব্যাপারে রিকশা চালক রইছ উদ্দিনের দাবি, `সবাই ঈদ করে ফিইরা আসলো। আর হামরা তো যাইবার পারলাম না। কষ্ট কইরা ট্যাকার লাই তো ঢাহায় আছি। দুইডা পয়সা কি বেশি নিমু না।`জেইউ/এসকেডি/এমএস/আরআইপি

Advertisement