লাইফস্টাইল

এই সময়ে যেসব খাবার পাতে রাখবেন

শীতের আছে আলাদা সৌন্দর্য। ঘন কুয়াশা, শিশিরে সিক্ত ঘাস, খেজুর রসের ঘ্রাণ শীতকে অন্যান্য ঋতু থেকে আলাদা করে তোলে। কিন্তু এর পাশাপাশি শীত এলে ভয় থাকে নানা অসুখেরও। ত্বক ফাটা, সর্দি- কাশি, ভাইরাল ফ্লু, শ্বাসকষ্ট, এবং অন্যান্য ইনফেকশন এগুলো হয়ে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই শীত জেঁকে বসার আগেই সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। চলুন জেনে নেয়া যাক এসময় কোন খাবারগুলো পাতে রাখা জরুরি-

Advertisement

ঘি ও মাখন: ঘি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। ঘিতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে শীতকালে ঘি দেহের তাপমাত্রা বাড়ায়। মাখনেও ক্যলোরি থাকে, যা দেহের তাপমাত্রাকে ঠিক রাখে। তাই এসময় প্রতিদিন অন্তত এক চামচ ঘি অথবা মাখন রাখুন।

মাছ, মাংস, ডিম: মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং জিঙ্ক থাকে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। মাংসে আয়রন থাকে, যা শরীরকে গরম রাখে। মাছ, মাংসের পাশাপাশি দুধ, ডিম এবং পনির ভিটামিন বি ১২ এর দুর্দান্ত উৎস। ভিটামিন বি ১২ ক্লান্তি দূর করে।

পালং: শাক শরীর সুস্থ রাখতে সবুজ শাক-সবজি আমাদের সবসময়ই খাওয়া উচিত। পালংশাক আমাদের শরীরের অত্যন্ত উপকারী। এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই এসময় পাতে রাখুন পালংশাক।

Advertisement

আদা ও রসুন: বিভিন্ন রকম খাবারের স্বাদ বাড়াতে আদা ও রসুন ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি এগুলো আমাদের শরীরকে গরম রাখে ও কোলেস্টেরল কমায়। সর্দি-কাশি ও হাঁপানি প্রতিরোধ করে। রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি এগুলো কাঁচাও খাওয়া যায়।

বাদাম: চেষ্টা করুন প্রতিদিন অন্তত একমুঠো কাজুবাদাম খেতে। কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল, ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা আমাদের ত্বক ভালো রাখে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচায়। এছাড়াও, বাদাম হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, দেহের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ডার্ক চকোলেট: চকোলেট ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচায়, শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়, মানসিক অবসাদ দূর করে। তাই এই সময়ে ডার্ক চকোলেট খান নিয়ম করে।

ভিটামিন সি: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মিষ্টি আলু, টমেটো, লাল মরিচ এবং সাইট্রাস ফলের মতো খাবার যুক্ত করুন কারণ এগুলিতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Advertisement

এইচএন/পিআর