রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নিধন, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসির) সদস্য গাম্বিয়া। সোমবার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি করতে এই মামলা করা হয়েছে।
Advertisement
এদিকে, গাম্বিয়ার এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে কানাডার তরফ থেকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতা, যৌন নিপীড়ন, ঘৃণামূলক বক্তব্য, গণহত্যা, পদ্ধতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন নিপীড়নের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
সে সময় রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এর ফলে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট তৈরি হয় এবং বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশকে এই বিপুল জনগোষ্ঠীর বোঝা বহন করতে হচ্ছে।
সোমবার আফ্রিকার মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) ৪৬ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
Advertisement
এই মামলায় গাম্বিয়াকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফোলে হোয়াগ। প্রতিষ্ঠানটির আশা, আগামী মাসেই এই মামলার প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে মিয়ানমার।
এর আগে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার জোরালো প্রমাণ তুলে ধরা হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডার হাউস অব কমন্সে ওই প্রতিবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের গণহত্যার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
গাম্বিয়ার এমন পদক্ষেপে তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে কানাডার তরফ থেকে বলা হয়েছে, আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে থেকে আমরা গাম্বিয়ার এমন পদক্ষেপকে সমর্থন করে যাব।
টিটিএন/পিআর
Advertisement