জাতীয়

ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের ৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৫ জনের মধ্য ৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন চাঁদপুরের সজীবুর রহমান (৫৫), ইয়াসিন (২৮), সুজন আহমেদ (২৮), কুলসুম বেগম (৩০), আলামিন (৩০) ইউসুফ (৩২) ও আদিবা (২)।

Advertisement

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডাক্তার আয়শা আক্তার আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জনের বরাত দিয়ে নিহতদের পরিচয় জানান।

তিনি জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে বর্তমানে ৪২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ২৬ জন, কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক ও সদর হাসপাতালে ১২ জন, আখাউড়া ও কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন করে মোট ৪ জন ভর্তি রয়েছেন।

দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে লাইনে ঢুকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলসচিব মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে রেলের মহাপরিচালকের দফতর থেকে। অপরটি করা হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক কার্যালয় থেকে। কমিটিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।

এদিকে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান।

তিনি জানান, প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়।

Advertisement

এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন এবং কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ২ জন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জন মারা যান।

এমইউ/বিএ/পিআর