কমনওয়েলথ মেলা ২০১৯-এ নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য ভূমিকার জন্য তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ।
Advertisement
লন্ডনের কেনসিংটন টাউন হলে শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে এ মেলার উদ্বোধন করেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। এ বছর বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কমনওয়েলথ মেলার সভাপতিত্ব করেছে।
মেলায় উদ্বোধনী বক্তব্যে লর্ড তারিক আহমেদ বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য হয়েছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার এবং আমি জানি, বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষার ব্যাপারে তার ভূমিকা অপরিসীম।’
লর্ড আহমেদ কমনওয়েলথ মেলা শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে যেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন এবং এ বছরের মেলার সুন্দর আয়োজনের জন্য হাইকমিশনার সাইদা মুনাকে ধন্যবাদ জানান।
Advertisement
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, “নারী শিক্ষায় অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে নারীর উন্নয়ন ও নারী শিক্ষার রোল মডেল।” হাইকমিশনার কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নারী শিক্ষা সহায়তায় তহবিল সংগ্রহের জন্য এ মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশ, প্রতিষ্ঠান ও মেলায় আগত দর্শকদের ধন্যবাদ জানান।
এ বারের মেলায় সর্বাধিক সংখ্যক ৩৮টি দেশ এবং এসব দেশের ৩৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। দিনব্যাপী এ মেলায় বাংলাদেশসহ কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের শিল্পী ও কলাকুশলীদের পরিবেশনায় ফ্যাশন শো, নাচ ও গান অনুষ্ঠিত হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশি-ব্রিটিশ ডিজাইনারদের ফ্যাশন শো ও বিয়ের পোশাক প্রদর্শনী এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিল্পীদের পরিবেশিত বর্ণাঢ্য সাজে লোকনৃত্য, যা মেলায় বাঙালি সংস্কৃতির এক মনোমুগ্ধকর আবহ তৈরি করে।
বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল ছিল মেলায় আগত রসনা বিলাসীদের পরিতৃপ্তির এক অনন্য আকর্ষণ। শেষে ছিল র্যাফেল ড্র।
Advertisement
কমনওয়েলথের ৭০ বছর পূর্তিতে এ বছরের মেলা পেয়েছে ভিন্নতর গুরুত্ব। মেলা উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন একটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছে।
এসআর/পিআর