বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ফলে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের ৬০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা ও আশাশুনি উপজেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলের এসব মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়। শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম বলেন, শনিবার দুপুর পর্যন্ত আমার ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হয়েছে। মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে চাই না। তবুও তাদের বুঝিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, এলাকায় কোনো রাস্তাঘাট নেই। মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাইলেও রাস্তা না থাকায় সেটিও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ক কর্মকর্তা (পিআইও) শাহিনুর ইসলাম জানান, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন দুটি অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কৈখালি ও মুন্সিগজ্ঞ ইউনিয়নও ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা এসব এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চায় না। তারা বাড়িতেই থাকতে চায়। কেউ কেউ তাদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে চলে যাচ্ছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম কামরুজ্জামান বলেন, আমি সকাল থেকেই উপকূলীয় গাবুরা ইউনিয়নের এলাকায় রয়েছি। এখানকার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় যেতে বলা হচ্ছে, বোঝানো হচ্ছে। মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে।
Advertisement
অন্যদিকে আশাশুনি উপজেলার উপকূলীয় শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, আমার ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খিচুড়ি ভাতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, দুই হাজারের অধিক মানুষ বর্তমানে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, দুপুর পর্যন্ত উপকূলের ৬০ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা একযোগে কাজ করছেন। উপকূলীয় এলাকার মানুষদের বুঝিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে।
আকরামুল ইসলাম/আরএআর/এমএস
Advertisement