ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কোরবানির বর্জ্য অপসারণে হিমশিম খাচ্ছে । শনিবার বিকেল পর্যন্ত অনেক জায়গা থেকে বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়নি। কোরবানির পশুর হাটেও এখনো বর্জ্য রয়েছে। তাই রাজধানীতে প্রায় ১৭ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করলেও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। শনিবার বিকেলে আফতাব নগর কোরবানির পশুর হাট, গুলশান, বনানী ও মহাখালী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এখনো কোরবানির বর্জ্য রাস্তায় পড়ে আছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১০ হাজার এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৭ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দিনরাত কাজ করলেও দুর্গন্ধ ঠেকাতে পারছেন না। প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন শুক্রবার দুপুরে ধোলাইখালে এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক একই সময়ে উত্তরা ১৫ ও ১৬ নম্বর সেক্টরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন করেন। জানা যায়, উভয় সিটি কর্পোরেশনে সাড়ে ৮ হাজার নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ৫ হাজার ২০০ ও উত্তরে ৩ হাজার ৩০০ জন কর্মী নিয়মিত নগরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণে নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে সাড়ে ৮ হাজার অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ৫ হাজার এবং উত্তরে সাড়ে ৩ হাজার কর্মী পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৪৮ ঘণ্টার টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই সময়ের মধ্যে রাজধানীর ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাটসহ নগরজুড়ে ঈদ উপলক্ষে জবাইকৃত পশুর রক্ত, নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য বর্জ্য অপসারণ করার কথা রয়েছে।ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা জানান, অধিকাংশ এলাকা থেকে বর্জ্য অপসারণ শেষ হয়েছে। তবে কোথাও কোথাও পশুর হাটের বর্জ্য এখনো রয়েছে। অতি দ্রুত এসব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রকিব উদ্দিন জানান, আমরা দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করছি। তাই অন্যান্য বারের চেয়ে এবার দ্রুত বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে। মহাখালীর অধিবাসী নূরুল কবির জানান, তারা নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানির বর্জ্য ফেলে আসলেও সেখান থেকে তা অপসারণ করা হচ্ছে না। ফলে দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। এইচএস/এমএএস/এমএস
Advertisement