সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনে গিয়ে মিনায় শয়তানকে পাথর মারার সময় পদদলিত হয়ে নিহত বাংলাদেশি গোলাম মোস্তফার (৫৫) বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামে। স্ত্রী রওশন আরা বেগমকে বাঁচাতে গিয়েই গোলাম মোস্তফা পদদলিত হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে ইয়াছিন মিয়া।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রেলওয়ের টেলিকম বিভাগের কর্মচারী গোলাম মোস্তফা কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণের প্রায় ১৩ মাস পর সস্ত্রীক সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে গত ২১ আগস্ট রাজধানীর বনানীর সাকের ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস’র মাধ্যমে ঢাকা ত্যাগ করেন।গোলাম মোস্তফার ছেলে ইয়াছিন মিয়া জাগো নিউজকে জানান, ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে মোয়াল্লেম সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে পদদলিত হয়ে তার বাবা গোলাম মোস্তফা নিহত হওয়ার খবর পান। সাইফুল ইসলামের বরাত দিয়ে ইয়াছিন আরো জানান, আমার আম্মাকে (রওশন আরা বেগম) বাঁচাতে গিয়েই আব্বা (গোলাম মোস্তফা) মারা গেছেন। আম্মা পড়ে যাওয়ার পরই আব্বা আম্মাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।এদিকে, গোলাম মোস্তফা নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই কসবার মান্দারপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি ঢাকার বাসায় দোয়া ও কোরআন খতম আদায় করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নিহত গোলাম মোস্তফার মরদেহ দেশে আনা হবে না। মক্কাতেই তার মরদেহ দাফন করা হবে। এতে গোলাম মোস্তফার পরিবারের লোকজনও সম্মতি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর হলেও স্ত্রী-সন্তানদেরকে নিয়ে ঢাকার আশকোনা এলাকায় থাকতেন গোলাম মোস্তফা। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছেন। আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমএএস/এমএস
Advertisement