বঙ্গোপসাগেরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই নোয়াখালী জেলার পুরো আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও থমথমে অবস্থায় রয়েছে। পড়েছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি।
Advertisement
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলায় মোট ৩৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র ও সাড়ে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির এক জরুরি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসরাত সাদমীন জানান, উপকূলীয় ৩ উপজেলায় আজ (৮ নভেম্বর) সকালে জরুরি সভা শেষে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে এবং বিকেল থেকে এলাকার বাসিন্দাদের সচেতনতায় মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রত্যেক উপজেলায় ২০০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ৩০০ মে.টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা, ৩০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত আছে।
প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ৪নং বিপদ সংকেতের পতাকা উঠানো হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নদীতে থাকা সব ধরনের নৌযানকে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা ও উপকূলের কাছাকাছি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
এদিকে, জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে ১১টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে।
মিজানুর রহমান/এমএমজেড/এমএস