ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ‘অ্যালার্ট-২’ জারি করা হয়েছে। এই কারণে বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পণ্যবাহী জাহাজগুলো জেটি থেকে সমুদ্রে পাঠানো হচ্ছে।
Advertisement
বন্দর সচিব ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, বিকেলে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভায় অ্যালার্ট-২ জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপরই জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। জেটি থেকে পালাক্রমে জাহাজ সাগরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেটিতে থাকা জাহাজে ব্যাপক আঘাত লাগে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে জাহাজ জেটি থেকে কিছুটা দূরে সাগরে পাঠানো হচ্ছে।
১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়–পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদফতরের সংকেত অনুযায়ী চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদফতর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি এবং বিপদসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহাবিপদসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় দামপাড়াসহ সিএমপির সদর দফতরে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। নগরবাসীকে জরুরি প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিম্নোক্ত টেলিফোন ও মোবাইলফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে :০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৬৭৯১২৩৪৫৬, ০৩১-৬৩৯০২২ ও ০৩১-৬৩০৩৫২
Advertisement
আবু আজাদ/জেএইচ/এমএস