আইন-আদালত

ইটিভির সাবেক চেয়ারম্যান সালামের রায় যেকোনো দিন

অর্থপাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিল চেয়ে একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালামের আবেদনের বিষয়ে রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখে আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আবদুস সালামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহদীন মালিক।

পরে খুরশীদ আলম খান জানান, মামলাটি বাতিল চেয়ে আবদুস সালাম হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। এরপর আদালত রুল জারি করে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রুল চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য সিএভি রেখেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সালামের ভাই আফতাবুল আলম ও ইটিভির সাবেক জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ফজলুর রহমান শিকদার। আসামিদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়, সংরক্ষণ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আবদুস সালাম একুশে টিভির চেয়ারম্যান থাকাকালে প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে ২৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা তোলেন। পরে সে টাকা দিয়ে ৩০ হাজার ইউরো কিনে সংরক্ষণ ও পাচার করেন। এছাড়া ইটিভির সাবেক এ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক। গত ২ মার্চ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে একুশে টেলিভিশনের প্রায় ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি ভোরে আবদুস সালামকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে পর্নোগ্রাফি আইনে করা ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আবদুস সালামসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলাও করা হয়।

এফএইচ/এমএসএইচ/এমকেএইচ

Advertisement