শরীয়তপুর পাসপোর্ট অফিস থেকে শুকতারা (১৯) নামে এক রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
Advertisement
আটক শুকতারা কক্সবাজারের টেকনাফের জাজিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হারুন-অর-রশিদ এবং রহিমা বেগমের মেয়ে। তিনি মিয়ানমার থেকে দুই বছর আগে টেকনাফে আসেন।
শরীয়তপুর পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, শরীয়তপুর গোয়েন্দা শাখার (এনএসআই) ফিল্ড অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলমের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা জানতে পারেন রোহিঙ্গা এক নারী বুধবার পাসপোর্ট করতে আসবেন।
এ নিয়ে সকালে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সতর্ক করেন উপ-সহকারী পরিচালক। দুপুর দেড়টার দিকে জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের মোহন ফকিরের কান্দির বাসিন্দা বাবুল ফকিরকে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে আসেন শুকতারা। তখন শুকতারার আচরণ, চেহারা ও কথাবার্তায় সন্দেহ হয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা নিশ্চিত হওয়ার পর দুপুর ২টার দিকে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
Advertisement
শরীয়তপুর পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মাহবুর রহমান বলেন, পাসপোর্ট করার জন্য দালালের মাধ্যমে জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের মোহন ফকিরের কান্দির বাসিন্দা বাবুল ফকিরের স্ত্রী পরিচয় দেন শুকতারা। সাহিদা আক্তার পরিচয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেন শুকতারা। তাকে আটকের পর স্বামী পরিচয় দেয়া বাবুল ফকির পালিয়ে যান।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, পুলিশ গিয়ে শুকতারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পাসপোর্ট করার জন্য কয়েক দিন আগে শরীয়তপুরে আসেন শুকতারা। পাসপোর্ট করে মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছেন তিনি। এজন্য বাবুল ফকিরের স্ত্রী পরিচয় দেন শুকতারা।
মো. ছগির হোসেন/এএম/পিআর
Advertisement