রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর বাজারে বিভিন্ন জেলা থেকে আড়াই থেকে তিনশ’ টন মিষ্টি কুমড়া আসে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে ১২-১৫টি ট্রাকে করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। তাই এখানে মিষ্টি কুমড়ার কেজি ১৪ টাকা।
Advertisement
জানা যায়, ক্ষেতের অন্য সবজির সঙ্গে কম খরচে চাষ হয় কুমড়া। এ বছর ফলন ভালো হলেও মৌসুমের শুরুতে ২০-২৫ টাকা এবং বর্তমানে ১৪-১৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আকারভেদে ৪ থেকে সাড়ে ৮শ’ টাকা মণ হিসেবে কুমড়া বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, প্রতিদিন বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর বাজারে বালিয়াকান্দি ও ফরিদপুরের মধুখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা শতশত মণ কুমড়া নিয়ে আসে। সেসব কুমড়া বাজারের প্রায় ১০-১৫ জন আড়ৎদার বুঝে নেন। পরে পাইকারি দরে স্থানীয় ও বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। শেষে আড়ৎদাররা খরচ রেখে কৃষকদের প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্রে জানা যায়, গত বছরের খরিপ মৌসুমে ২৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছিল। আর এ বছর রবি মৌসুমে ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে মিষ্টি কুমড়া।
Advertisement
কৃষকরা জানান, তারা খরচের তুলনায় এ বছর দাম কম পাচ্ছেন, তবে ফলন মোটামুটি ভালোই হয়েছে।
আড়ৎদার ভবতোষ দাসসহ অনেকে বলেন, কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই কৃষকদের থেকে নেওয়া কুমড়া তারা ব্যবসায়ীদের কাছে প্রকারভেদে বিক্রি করছেন। পরবর্তীতে তাদের খরচ রেখে কৃষকদের টাকা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুর রহমান জানান, বালিয়াকান্দির জামালপুরসহ বিভিন্ন স্থানের উঁচু জমিতে মরিচের পাশাপশি ব্যাপক হারে কুমড়ার চাষ করা হয়। কুমড়া চাষ করে তারা বেশ লাভবান হচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলার দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন।
রুবেলুর রহমান/এসইউ/এমকেএইচ
Advertisement