রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে উন্নত জীবন ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন তাদের কাউকেই সেখানে জোরপূর্বক স্থানান্তর করা হবে না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মার্কিন ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলসের সাথে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের এ অবস্থান তুলে ধরেন।
Advertisement
ঊর্ধ্বতন এই মার্কিন কর্মকর্তার সাথে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব জানান। মিয়ানমারের সেনা অভিযানের মুখে জীবন বাঁচাতে নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ। যাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর এদেশে পালিয়ে এসেছে।
গত দুই বছরে মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি আসিয়ান সম্মেলনে ভারত ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী সুচিকে বলেছেন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকেও বলেছি রোহিঙ্গা ফেরাতে পদক্ষেপ নিতে। রোহিঙ্গাদের জোর করে ভাসানচরে নেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। বিশেষ করে অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতে। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্ন তুলেছে চীনের সহযোগিতা নিতে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন কি না।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক চৌকস আছি। সীমাবদ্ধতা বুঝি। যে আমাদের দেশে বিনিয়োগ করবে তাকেই স্বাগত। যুক্তরাষ্ট্র ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রশ্ন করে। এ উত্তরে পররাষ্ট্র বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এ আইন করা হয়েছে।
তিনদিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন এলিস ওয়েলস। ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারীর এই সফর। সফরকালে এলিস ওয়েলস পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। ঢাকায় আসার আগে ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস ব্যাংককে সদ্য সমাপ্ত পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্য ফোরামে অংশ নিয়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক অংশীদারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
জেপি/এমআরএম
Advertisement