লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর আবদুল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর বিরুদ্ধে গুচ্ছগ্রামের ঘর পাইয়ে দেয়ার জন্য চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি একই ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোহাম্মদ উল্যাহ টিপু জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ অভিযোগ করেন।
Advertisement
একই ঘটনায় লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ২ নম্বর গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে অসহায় গরিব লোকদের জন্য ৫টি ঘরের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের কাছে আবেদন করা হয়। ইউপি সদস্য টিপু চেয়ারম্যানের কাছে এ আবেদন করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান প্রত্যেকটি ঘরের জন্য টিপুর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দাবি করে। টাকা না দিলে চেয়ারম্যান ঘর বরাদ্দ দেবে না বলে অভিযোগে বলা হয়।
এছাড়া একই এলাকার ইসলাম আলীর ছেলে ছিদ্দিক হাওলাদারের কাছ থেকে ৩টি ঘরের জন্য ৩০ হাজার টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন থেকে ৫টি ঘরের জন্য ২৫ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
Advertisement
জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, শুনেছি প্রতিটি ঘরের জন্য চেয়ারম্যান ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। তবে আমার কাছ থেকে ৫টি ঘরের জন্য ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে। অসহায় গরিবদের জন্য ঘরগুলো পেতে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও আবেদন করেছি। এ কারণে হয়তো আমার থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে চর আবদুল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর বলেন, গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলো নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারের কাছ থেকে মেম্বার টিপু ২ লাখ টাকা চেয়েছে। ঠিকাদার বিষয়টি জানালে আমি টিপুর কাছে টাকা চাওয়ার কারণ জানতে চাই। টাকা না পেয়েই তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মোমিন বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগটি পেয়েছি। এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে (এটিও) তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে চর আবদুল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদ গিয়ে আমি নিজেই তদন্ত করবো।
প্রসঙ্গত, চর আবদুল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর বিগত দিনে নিজের নামে জেলে (মৎস্যজীবী) কার্ড করে সরকারি সহায়তা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
Advertisement
কাজল কায়েস/এমএএস/এমএস