জাতীয়

দুর্গন্ধমুক্ত এবার ব্যতিক্রম এক ঢাকা

মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে নগরবাসী! বছরের অন্য সময়টাতে যান্ত্রিক নগরীতে প্রচণ্ড যানজট নিত্যসঙ্গি হলেও ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে বাইরে বের হন। আর্থিক সক্ষমতা অনুসারে কেউ প্রাইভেট কার, কেউ বাস কেউবা টেম্পুতে চড়ে ফাঁকা ঢাকায় ঘুরে বেড়ান। তবে অন্যান্য বছর ঈদুল আযহার দিনটিতে ধনী গরীব নির্বিশেষে রাস্তাঘাটে যত্রতত্র ফেলে রাখা গরু-ছাগলের বর্জ্য ও জমাট রক্তের দুর্গন্ধে নাকেমুখে রুমাল চেপে পথ চলতে হয়। কিন্তু আজ ছিল তার ব্যতিক্রম। এ প্রতিবেদক সরেজমিন নিউমার্কেট থেকে শ্যামলী পর্যন্ত ঘুরে দেখেছেন কোথাও কোনো দুর্গন্ধ নেই। সিটি কর্পোরেশনের ছোট বড় গাড়ি ময়লা আবর্জনা অপসারণে রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা বর্জ্য দ্রুত পরিস্কার করছে। বিগত বছরের মতো বর্জ্য এদিকে সেদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। যারা ঘুরতে বেরিয়েছেন তারা প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিয়েছেন ইট পাথরের রাজধানীর সদাব্যস্ত রাজপথে।ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়র পশু জবাইয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কেউ বাড়িঘরের সামনে পশু জবাই করলেও সেগুলোর বর্জ্য নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সিটি কর্পোরেশন থেকে বিনামূল্যে বর্জ্য ফেলার ব্যাগও সরবরাহ করা হয়েছিল। তাদের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে নগরবাসীর কেউ ডিসিসি নির্ধারিত নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করেছে। যারা বাড়িঘরের সামনে জবাই করেছে তারাও রক্ত জমাট বাধার আগেই জবাইয়ের পর পর দ্রুত পানি ঢেলে দিয়েছেন। বর্জ্য ফেলেছেন নিকটস্থ ডাস্টবিনে। শুক্রবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর রাসেল স্কোয়ারের সামনে সিটি কর্পোরেশনের দুই কর্মচারীকে ছোট গাড়ি থেকে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে দেখা যায়। শরীফ নামের এক চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক জানান, কিছুক্ষণের মধ্যে ডিসিসির বড় গাড়ি এসে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে নিয়ে যাবে। তার সঙ্গে কথা বলার দু-চার মিনিটের মধ্যে বড় গাড়ি এসে বর্জ্য তুলে নিয়ে গেল।কলাবাগান ইয়াকুব সেন্টারের সামনে দুই কর্মচারী রাস্তায় পড়ে থাকা রক্ত পানি দিয়ে ধুইয়ে দিচ্ছিল। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, মেয়র সাহেবরা শহর পরিস্কার রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন তাই মার্কেটের কমিটি তাদের বলেছেন পশু জবাইয়ের পর পরই যেন রাস্তা ও ফুটপাত পানি দিয়ে ধুইয়ে দেই। কিছু কিছু স্থানে গরুর গোবর পড়ে থাকতে দেখা গেলেও সেগুলো ব্যাগে ভরা ছিল। ফলে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারেনি। রাজধানীর গ্রীণ রোডের বাসিন্দা হাসেম খান জাগো নিউজকে বলেন, বিগত ৫/১০ বছরে ঢাকার রাস্তাঘাট এমন বর্জ্য ও দুর্গন্ধমুক্ত পাইনি। এমইউ/এমএএস/পিআর

Advertisement