ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, আল্লাহ’র মেহমান হাজি সাহেবদের সেবায় নিয়োজিত হওয়া ইবাদতের অংশ। তাদের সেবায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতাসহকারে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। হজ ব্যবস্থাপনার নতুন নিয়ম বা আইন করার আগে সর্বাধিক হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোর সাথে সৌদি সরকার আলোচনা করলে হজযাত্রীরা আরও বেশি উপকৃত হবেন।
Advertisement
সোমবার (৪ নভেম্বর) লন্ডনে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড হজ অ্যান্ড ওমরাহ কনভেনশনের দ্বিতীয় দিনে বৃটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অফ লর্ডসের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হাউজ অফ লর্ডসের সদস্য মন্জিলা ব্যারোনেস উদ্দিন সভায় সভাপতিত্ব করেন। এর আগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বৃটিশ পার্লামেন্টে পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান মন্জিলা উদ্দিন।
ওয়ার্ড হজ ও ওমরাহ কনভেনশনে জেদ্দায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের কনসাল জেনারেল, সৌদি আরব, সুদান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়াসহ অন্তত ২৫টি দেশের হেড অব ডেলিগেশন ও তাদের সফরসঙ্গী, হজ এজেন্সিজ, বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির প্রতিনিধিরা এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
মতবিনিময় সভায় হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের পরিবহন, আবাসন, ক্যাটারিং সার্ভিস ও মিনা-আরাফা, মোজদালিফায় হাজিদের নানা সমস্যা এবং তা সমাধানের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশি হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের মোবাইল সিম ব্যবহারে যুক্তরাজ্যের একটি মোবাইল কোম্পানির অনুরোধে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীরা আল্লাহ’র মেহমান, সেবার পরিবর্তে তাদেরকে নিয়ে ব্যবসার চিন্তা করা অনৈতিক।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ২০২০ সালের হজ ব্যবস্থাপনা হবে সর্বোত্তম। এ জন্য সর্বোচ্চ হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের মতবিনিময় অব্যাহত থাকবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন সৌদি আরবের পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন করা এবং তাদের লাগেজ পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করে হজ ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করায় বাংলাদেশ হজ ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন।
Advertisement
এমইউ/আরএস/এমএস