ই-মিউটেশন বা ই-নামজারি নিয়ে সব উপজেলায় প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। তাই সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনার এ পদ্ধতির শতভাগ বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
Advertisement
সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) এ নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে।
ভূমি ব্যবস্থাপনায় মিউটেশন বা নামজারি একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। জমি ক্রয় বা অন্য কোনো উপায়ে জমির মালিক হয়ে থাকলে হাল নাগাদ রেকর্ড সংশোধন করতে হয়। পুরোনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নামে জমি রেকর্ড করাকে নামজারি বলে। এ কাজটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজে করাই হচ্ছে ই-নামজারি।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড এবং এটুআই প্রোগ্রাম যৌথভাবে মাঠ পর্যায়ে ই-নামজারি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। ইতোমধ্যে ই-নামজারি সিস্টেমে ৪৮৫ উপজেলা সংযুক্ত এবং সকল উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের ভূমি সংস্কার বোর্ড এবং এটুআই কর্তৃক ইউজার ট্রেনিংয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সকল উপজেলার প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে।
Advertisement
‘বর্তমানে ই-নামজারি সিস্টেম সকলের জন্য ব্যবহার উপযোগী এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তাদের সম্পাদিত কার্য মূল্যায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। মনিটরিং ড্যাশ বোর্ডের কাজও ইতোমধ্যে প্রায় সমাপ্ত। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সকল সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
‘সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) কাজ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, মাঠ পর্যায়ে সহকারী কমিশনারদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা তাদের কর্মকাণ্ড মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে তারা ই-নামজারি সিস্টেম-এ সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়ে শতভাগ ই-নামজারি কার্যক্রমকে বেগবান ও ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।’
তাই ই-নামজারি কার্যক্রমকে মাঠ পর্যায়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়নসহ বেগবান ও ত্বরান্বিত করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে চিঠিতে।
আরএমএম/এএইচ/পিআর
Advertisement