মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পেশাজীবী ছাড়াও মৌসুমি কসাইদের ব্যস্ততা বেড়েছে কয়েকগুণ। ঈদের সময় প্রতিবারই কসাই সংকট থাকলেও ঢাকায় কসাইদের কদর বেশি হওয়ায় স্থানীয় অনেক পেশাজীবী এবং মৌসুমি কসাই ছুটে গেছেন রাজধানীতে। তাই কসাই সংকটে পড়েছে রাজশাহীবাসী।প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৌসুমি কসাইরা রাজধানীতে যান কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানো ও মাংস বানানোর কাজ করতে। এদের অনেকেই ভিন্ন পেশার মানুষ হলেও কেবল দুই তিন দিনের জন্য তারা ছুরি চাপাতি হাতে নেমে পড়েন এ কাজে। কাজ করে তারা আবার ফিরে আসেন নিজেদের ঠিকানায়। আলতাব হোসেন নামের এক কসাই জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল রাজশাহী থেকে ঢাকায় পৌঁছে তিনটি কাজের অর্ডার পেয়েছি। আজ আরো দুইটি। মোট ৫টি কাজের অর্ডার পান আলতাব। ঢাকায় কাজের দাম বেশি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা ৬ জন এই কাজ করতে ঢাকায় এসেছি।আলতাব হোসেনের সাথে থাকা চাঁদ মিয়া নামের আরেক কসাই জানান, প্রথম প্রথম কাজ করতে গিয়ে চামড়া কিছু নষ্ট হয়েছিল। কাজটি শিখে নেয়ায় এখন আর চামড়া নষ্ট হয় না। এ পর্যন্ত পাঁচটি গরুর কাজের অর্ডার পেয়েছি আমরা।কসাই সংকটে ভূক্তভোগী আফতাব উদ্দিন নামের একজন বলেন, গরু কুরবানির মাংস বানানোর জন্য কসাই ঠিক করেছিলাম তার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর সেই কসাই এখন জানাচ্ছে তার হাতে আরো তিনটি কাজ আছে সেই কাজ শেষ করে তারপর সে আসবে।ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, কসাইয়ের সংকট থাকায় এদের ভাব এবং ডিমান্ড দুটাই বেড়ে যায় কুরবানির সময়।বছরে যে পরিমাণ পশু জবাই হয় তার প্রায় অর্ধেকই হয়ে থাকে কোরবানি ঈদে। ঈদের সময় এত বিপুল সংখ্যক পশু জবাই হওয়ায় পেশাদার কসাইদের দিয়ে পশুর চামড়া ছাড়ানো সম্ভব হয় না। ফলে এ সময় মৌসুমি কসাইদের চাহিদা বাড়ে।এদিকে, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, কোরবানির ঈদের সময় কসাইয়ের চাহিদা বেড়ে যায়। এসময় মৌসুমি কসাইয়ের দৌরাত্ম্যও বেড়ে যায়। তারা ইচ্ছামত দাম রাখে। গরুর দাম হিসেবে প্রতি হাজারে ১০০-১৫০ টাকা অথবা মালিকের আলাপ আলোচনা করে দাম ঠিক করে কাজ করেছেন পেশাদার কসাইরা।রবিউল আলম বলেন, এই ঈদে কসাইয়ের চাহিদা ব্যাপক । কারণ সাহায্য করার মত কাউকে পাওয়া যায় না। তাই মৌসুমি কসাইদের উপর নির্ভর করতে হয়। তবে এর ফলে মূল্যবান চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আএসএস/এসকেডি/পিআর
Advertisement