বরিশালে ঈদ-উল-আযহার প্রধান নামাজের জামাত নগরীর হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নাজমুল হাসান, বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস, জেলা প্রশসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং কয়েক হাজার মুসল্লি সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। প্রধান এই জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা শিহাব উদ্দিন।নমাজ শেষে সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল বরিশালবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। একই সাথে শহর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম কানুন মেনে চলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অন্যান্য বছরের মতো এবারো বরিশাল বিভাগের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফ ময়দানে সকাল ৯টায়। চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিমের ইমামতিত্বে এখানে অন্তত ২০ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করেন। বিভাগের দ্বিতীয় বৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে পিরোজপুরের নেছারাবাদের ছারছিনা দরবার শরীফ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়। এছাড়া ঝালকাঠীর কায়েদ সাহেব হুজুরের দরবার শরীফ মাঠে (এনএস কামিল মাদ্রাসা মাঠ) সকাল ৮টায়, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জের মরহুম হযরত ইয়ারউদ্দিন খলিফা (রা.) দরবার শরীফে সকাল ৮টায়, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং নগরীর গোরস্থান রোড আঞ্জুমান-ই হেমায়েত-ই ইসলাম মাঠে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জামে কশাই মসজিদে সকাল ৮টায় প্রথম ও সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় জামায়াত, জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদে সকাল ৮টায় প্রথম ও সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয়, সদর রোডের বায়তুল মোকারম জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম ও সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয়, পুলিশ লাইনস জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম ও সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় এবং নূরিয়া স্কুল ইদগাহ মাঠে সকাল ৭ টায় প্রথম ও দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়। এছাড়াও বরিশাল নগরী এবং বিভাগের ৬ জেলায় সহস্রাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে তারা এক অপরের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। এরপর পশু কোরবানি দেন তারা।সাইফ আমীন/এমএএস/এমএস
Advertisement