লাইফস্টাইল

শরীরে দুর্গন্ধ? এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলো

শরীরে দুর্গন্ধ হলে আমরা ধরেই নেই যে ঘামের কারণে বুঝি এমনটা হচ্ছে। এটি ঠিক যে ঘামের কারণে অনেকেরই শরীরে দুর্গন্ধ হতে পারে। তবে এর পাশাপাশি এই দুর্গন্ধের জন্য দায়ী আমাদের খাবারও। প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিলে এই অসহ্য দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে কোন খাবারগুলো বাদ দেবেন-

Advertisement

খাবারে জিরা ব্যবহার করার উপকারিতা অনেক। তবে সেই জিরার ব্যবহার যেন খুব বেশি না হয়। জিরা বা এই জাতীয় মশলাযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব কম খান। কারণ, জিরা বা এই জাতীয় মশলা শরীরে সালফার জাতীয় গ্যাস সৃষ্টি করে যা লোমকূপ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত হয়। এর কারণে দুর্গন্ধও বেশি হয়।

রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ারও অভ্যাস আছে অনেকের। পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সালফার জাতীয় উপাদান যা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। তাই শরীরের মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধ দূর করতে পেঁয়াজ কম খাওয়া ভালো।

রসুনেও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সালফার জাতীয় উপাদান যা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। রসুনে থাকা সালফার উপাদান রক্তে মেশে যা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এই দুর্গন্ধই লোমকূপ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত হয়। তাই শরীরের অতিরিক্ত দুর্গন্ধ দূর করতে রসুন কম খান।

Advertisement

অতিরিক্ত মাত্রায় দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে এর মধ্যে থাকা উপাদানগুলো ভেঙে হাইড্রোজেন সালফাইড এবং মিথাইল মারক্যাপশন তৈরি হয়। এই হাইড্রোজেন সালফাইড এবং মিথাইল মারক্যাপশন শরীরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। তাই শরীরের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে হলেও দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার কম খাবেন।

অতিরিক্ত মাত্রায় শর্করাজাতীয় খাবার খেলে তা রক্তে ‘কিটোন বডি’ তৈরি করে যা শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।

যখন তখন মিষ্টি কিংবা চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস আছে? এটিও হতে পারে আপনার শরীরের দুর্গন্ধের কারণ। কৃত্রিম মিষ্টি, চকোলেট, ক্যান্ডি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে শরীরে ফ্যাটি আসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে রক্তে ইস্টের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।

এইচএন/এমএস

Advertisement