গণমাধ্যম

মুড়ি আর পায়েসে ঈদ শুরু মাহমুদুর ও শওকত মাহমুদদের

ভোর ৭ টায় মুড়ি আর পায়েস খেয়ে ঈদ উদযাপন শুরু করলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ ছাড়াও কাশিমপুর ২ নং কারাগারের সহস্রাধিক বন্দি। সকালে ঈদের নামাজের আগে তাদের প্রত্যেকের সেলে পৌঁছে গেছে এই খাবার। খাবার খেয়ে তারা কারাগারের ভেতরের মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন।সাংবাদিক নেতারা ছাড়াও এই কারাগারে রয়েছেন যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী, এটিএম আজহারুল, জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতাসহ ১০৩ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।ঈদের দুপুরে বন্দিদের জন্য রয়েছে সাদাভাত, রুই মাছ আর আলুর দম। আর রাতের বিশেষ আয়োজনে তারা পাবেন পোলাও, গরু অথবা খাসীর মাংস, ডিম, মিষ্টি (মিষ্টান্ন) এবং পান-সুপারি।খাবারের একই মেন্যু থাকবে কাশিমপুর কেন্দ্রিয় কারাগারের (পার্ট-১) বন্দীদের জন্য। এই কারাগারে বন্দী রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার আসামি সাবেক লে. কমান্ডার এম মাসুদ রানা, মেজর আরিফসহ সহস্রাধিক আসামি।তবে বিশেষ দিন হলেও অন্যান্য কারাগারের মতো এখানকার বন্দীরা ঈদের দিন বাইরের খাবার খেতে পারবেন না। নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার (পার্ট-২) এর জেলার নাসির আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, কারাগারের রেওয়াজ অনুযায়ী তাদের ঈদের খাবার দেয়া হয়েছে। প্রতিবারই দুই ঈদে তাদের জন্য বিশেষ খাবারের এই আয়োজন করা হয়। তবে এবার ঈদের দিন আসামিরা বাইরের খাবার খেতে পারবে না। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে খাবার ভেতরে নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে ঈদের পরের দুইদিন তারা বাইরের খাবার খেতে পারবেন।তবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চিত্রটা একটু ভিন্ন। ঈদের দিন স্বজনদের আনা খাবার পরীক্ষার মাধ্যমে বন্দীর কাছে পৌঁছে দেওয়া বলে জানিয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের দিনে কয়েদি ও হাজতিদের সঙ্গে দেখা করার বিশেষ সুযোগ দেয়া হচ্ছে এখানে। দিনটিতে বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে কয়েদিদের জন্যে। কারা কর্তৃপক্ষের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, প্রায় সাত হাজার বন্দী রয়েছে এখানে। এআর/এসকেডি/এমএস

Advertisement