আন্তর্জাতিক

ট্রেনে পালিয়ে যাওয়া চোরকে ধরতে পুলিশ ছুটল প্লেনে

ভারতের বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়েছিল রাজস্থানের বাসিন্দা কুশল সিং। তার বয়স মাত্র ২১ বছর। বেঙ্গালুরুর এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে কাজে ঢুকেছিলেন তিনি। স্বপ্ন ছিল ওই ব্যবসায়ীর মতোই বিশাল একটা বাড়ি হবে, টাকা-পয়সা হবে, প্রভাব-প্রতিপত্তিও হবে। কিন্তু এসব যে এক রাতের কাণ্ড নয়। পুরো জীবন চলে যায় এসব স্বপ্ন পূরণ করতে। আর একরাতে এই স্বপ্নপূরণের কান্ডারি হতে চাইলে, অপরাধের সাহায্য নিতে হয়। ঠিক যেভাবে প্ল্যান করে বড়সড় অপরাধ করে ফেলল কুশল।

Advertisement

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, তার মালিকের বাড়ি থেকে রাতারাতি গায়েব হয়ে যায় মোটা অংকের সোনার গহনা। আর সেই সব গহনা গায়েব করেই রাতারাতি রাজস্থানে পাড়ি দেন তিনি। এ দিকে কুশলের মালিক বাড়ি এসে দেখেন যে, তার আলমারি খোলা, কিন্তু গায়েব মোটা টাকার সোনার গহনা। পুলিশ তাকে ট্র্যাক করে পরিষ্কার বুঝে যায় যে, কুশল ট্রেনে করে কোথাও পালিয়ে গেছে।

দিওয়ালির দিন অর্থাৎ গত ২৭ অক্টোবর বেঙ্গালুরুর বাসাভানাগুডিতে ব্যবসায়ী মেহেক ভি পিরাগলের বাড়িতে কাজে ঢোকে কুশল। পরিবারের কাছের এক বন্ধুর মাধ্যমেই কুশলকে কাজে নেয় ব্যবসায়ী মেহেক ভি পিরাগল। সেই দিনই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ পুরো পরিবার বেরিয়ে যায় একটি দিওয়ালি পার্টিতে যোগ দিতে। আর কুশলকে তারা বলে যান, বাড়িটি পাহাড়া দিতে।

রাত ৯টার দিকে তারা বাড়ি ফিরে দেখেন, পুরো বাড়ি তছনছ। সোনার গহনা নেই। আর কুশলও নেই তাদের বাড়িতে। তড়িঘড়ি তারা তখন পুলিশে খবর দেন। আর পুলিশ তারপরে ট্র্যাক করে বুঝতে পারে যে, কুশল ট্রেনে করে কোথাও যাত্রা করছে। তিনদিন ধরে যাত্রার করার পর রাজস্থানে পৌঁছেও যায় কুশল।

Advertisement

আর প্রভাবশালী ব্যক্তির সোনার গহনা ফিরিয়ে দিতে এবং কুশলকে গ্রেফতার করতে পুলিশ প্লেনে করে রাজস্থানে পাড়ি দেয়। কুশলের যেখানে আজমির পৌঁছাতে সময় লাগে তিন দিন। সেখানে বেঙ্গালুরু থেকে আজমির মাত্র তিন ঘণ্টাতেই পৌঁছে যায় পুলিশ।

পরে কুশলকে গ্রেফতার করে সোনার গহনা উদ্ধার করে পুলিশ। রাজ্য পুলিশ বলছে, অপরাধী এই প্রথমবার বেঙ্গালুরুতে এসেছিল। এর আগে কুশলের কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই।

এসআইএস/জেআইএম

Advertisement