রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে পুকুরে নিক্ষেপের ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের মধ্যে জড়িত পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।’
Advertisement
রোববার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য দেন। সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
রাজশাহী পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে শনিবার ক্যাম্পাসে টেনে-হিঁচড়ে পুকুরের পানিতে নিয়ে ফেলে দেয়া হয়। পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
ওই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সঙ্গে সঙ্গে জেনেছি ঘটনাটি। সঙ্গে সঙ্গেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে যাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে তাদের সংখ্যা পর্যন্ত পাঁচজন।’
Advertisement
ওই ঘটনার পর রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
অযোগ্য শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেয়ার আবদার না রাখায় গত শনিবার দুপুরে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে লাঞ্ছিত করে পলিটেকনিকের ভেতরেই পুকুরে ফেলে দেয় সৌরভের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। পরে ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে অধ্যক্ষকে পুকুর থেকে উদ্ধার করেন।
ওই ঘটনায় শনিবার রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করেন অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ। মামলায় ছাত্রলীগ নেতা সৌরভসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। শনিবার মধ্যরাতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরএমএম/এমএআর/পিআর
Advertisement