নরওয়ের দুটি শহর। একটি ট্রমস, আরেকটি মোসকেনেস। ট্রমস শহরটি ‘অরোরা সিটি’ নামেও খ্যাত। শহরটিতে একটি বিমানবন্দর আছে। আর দেশটির সবচেয়ে সুন্দর দীপপুঞ্জ লোফোটেনের সর্বশেষ পয়েন্টে মোসকেনেস শহর অবস্থিত।
Advertisement
আটলান্টিক মহাসাগরের একটি ধারা দুটি শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে। তাই শহর দুটিকে জোড়া লাগিয়েছে একটি ব্রিজ। এখানে প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ আসে।
বিশ্ব পর্যটক তানভীর অপুও ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি থেকে গাড়িতে করে গিয়েছিলেন সেখানে। শহর দুটি ঘুরে এসে বিস্তারিত জানাচ্ছেন তিনি-
ট্রমস শহর: অরোরার শহর ট্রমসে গেলাম অবশেষে। নীল আকাশ, তাতে সাদা মেঘের আড্ডা। নিচের জলে নানা রঙের জলযান যেন সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি সেই জলের মাঝে আকাশ আর মেঘের জলকেলির প্রতিচ্ছবি। যেন কেউ জলরঙে এঁকে গেছে।
Advertisement
এমন অপরূপ দৃশ্যের সামনে আমি আর সীমা খান। সাদা মেঘদল ভেসে যায় আকাশজুড়ে পাহাড় ছুঁয়ে। আমিও তার সাথে ছুটে যাই সবুজ পথের সাথী হয়ে। নরওয়েতে প্রথম ফেরি পাড়ি দিলাম আমরা।
নীলাভ পাহাড়টিকে আস্তে আস্তে আলিঙ্গনে ঢেকে ফেলছে শুভ্র মেঘগুলো। কিছু মেঘ পাহাড়ের ঢাল বেয়ে জোছনার মত গলে পড়ে যাচ্ছে নিচের স্বচ্ছ রুপালি জলে। পৃথিবীর উত্তরে শেষ শহর হ্যামারফেস্ট থেকে অরোরার শহর ট্রমসে গিয়েছিলাম আমরা।
মোসকেনেস শহর: নরওয়ের সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপপুঞ্জ লোফোটেনের সর্বশেষ পয়েন্টে মোসকেনেস শহর। সেখানেও গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে উজ্জ্বল আলোর মেলা। সেই আলোয় আলোকিত সুরমা রং পাহাড়।
কোথাও বেশি আলোর প্রতিফলনে তৈরি হয়েছে উজ্জ্বল সাদা রঙের আয়না ঘোর। পাহাড়ের মাঝে মাঝে বরফের সাদা হাসির ঝিলিক। মাঝখান দিয়ে চলে গেছে নিশ্চুপ রাস্তাটি।
Advertisement
এখানে মেঘ আর পাহাড়ের মাখামাখি দেখে মনে হয়েছে, মেঘ বেড়াতে এসেছে পাহাড়ের বাড়িতে কিংবা পাহাড় আলিঙ্গনের জন্য নিমন্ত্রণ জানিয়েছে মেঘকে। তাই খটখটে পাহাড়ের কোথাও কোথাও সবুজের মায়া আর কোলজুড়ে মেঘের ভালোবাসা।
ট্রমস শহর থেকে লোফোটেন দ্বীপপুঞ্জের দূরত্ব সাড়ে তিনশ কিলোমিটার। ক্যাবল কারে উঠে পুরো শহর দেখার সুযোগ হয়েছে আমাদের। অনন্য সুন্দর স্বপ্নময় এ শহরে একবার গেলে বারবার যেতে ইচ্ছে করে। হয়তো আবার সুযোগ এলে চলে যাবো একদিন।
এসইউ/পিআর