রাজধানীর ধানমন্ডিতে একই বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের শিকার গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম ও গৃহকর্মী দিতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তে গলাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
Advertisement
শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্ত করেন ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. কবির সোহেল।
মর্গ সূত্র জানায়, ময়নাতদন্তের সময় তাদের গলায় ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি দুজনের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরীক্ষার জন্য গৃহকর্ত্রীর ভিসেরা ও গৃহকর্মী দিতির হাই ভেজিনাল টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে দিতি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না, এই পরীক্ষায় তা জানা যাবে।
ময়নাতদন্তের বিষয়ে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. কবির সোহেল বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। দুটি মৃতদেহেই গলা কাটাসহ অনেকগুলো ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
Advertisement
গঠিত বোর্ডের অন্য দুই সদস্য হলেন- ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ ও প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস।
ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সকালে মৃতদেহ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, মৃতদেহের গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা চিহ্ন, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে প্রতিবেদনে ‘ময়নাতদন্ত করার পরামর্শ’ দেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার রাতে ধানমন্ডির ফ্ল্যাটে গিয়ে নিহত আফরোজা বেগম ও দিতির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ধানমন্ডি থানার এসআই এনামুল হক জানান, ধারণা করা হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের গলায় পোচ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
Advertisement
রাতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফ্ল্যাটে আগতদের হাত-পায়ের ছাপসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন-বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী, নিহত আফরোজার জামাতা কাজী মনির উদ্দিনের বডি গার্ড বাচ্চু এবং ভবনের ইলেকট্রিশিয়ান বেলায়েত।
এআর/জেএইচ/জেআইএম