জাতীয়

ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দেয়া ‘জরুরি’ : বাণিজ্যমন্ত্রী

ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দেয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ‘আমি কিছুদিন আগে নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া থেকে ঘুরে এসেছি। তারা খুব করে চাইছে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করার জন্য। তারা বলছে, কলকাতা বন্দর ব্যবহার করতে হলে তাদের ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে হয়। যেখানে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করলে ৬০০ কিলোমিটার হয়। এটা করা খুব জরুরি। এতে আমাদের দেশের রেভিনিউও বাড়বে। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নতি হবে।’

Advertisement

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ডে চিটাগং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত পণ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জিডিপি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী বছরগুলোয় আমাদের জিডিপি ১০ শতাংশের ওপরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ৬ হাজার ডলার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে নারী উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। পণ্য বহুমুখীকরণসহ দেশে-বিদেশে নতুন বাজার খুঁজতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকলোনের কথা বললে আমি শিওর ১০০ জন নারী আর ১০০ জন পুরুষ যদি লোন নেন তাহলে লোন রিকভারির মধ্যে পুরুষরা নারীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে। তাদের সততা, লোন পরিশোধের প্রবণতা সবকিছুই ভালো। এ কথা বলতে কোনো দ্বিধা নেই।’

Advertisement

চট্টগ্রামের নারীদের অগ্রগতির প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের নারীরা যেভাবে সংগঠিত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, আমি মনে করি, রাজধানীর চেয়ে তারা বেশি ভালো করবে। পোশাকশিল্প থেকে শুরু করে কোনো ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে নেই। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য গৌরবের। দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী যে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, এ জন্য নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। না হলে আমাদের সে লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না।’

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে দ্রুত বে-টার্মিনাল নির্মাণ শুরুর আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৩ টনের বাধ্যবাধকতা অপসারণ না করলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানির দিকে যাচ্ছি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বে-টার্মিনালের ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে। টার্মিনালের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি টাইম ফ্রেম দিতে হবে।’

চিটাগং উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো, এশিয়ান আরব চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি প্রিন্সেস ফে জাহান আরা, ইন্ডিয়ান ইকোনমিক ট্রেড অর্গানাইজেশনের সভাপতি আসিফ ইকবাল, মালয়েশিয়া ওর্য়াল্ড অব চেম্বার অব কমার্সের ভিশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রধান ড, দাতিন মালিগা সুব্রামানিয়াম, উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও লায়ন জেলা গভর্নর কামরুন মালেক, বাংলাদেশ ফ্যাশন ডিজাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুনতাসা আহমেদ, আলী সাবিত ও মেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান মৃণাল মাহবুব।

জেডএ/এমকেএইচ

Advertisement