স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সুন্দরবনকে যারা আবারও অশান্ত করার জন্য উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। সুন্দরবনকে আমরা দস্যুমুক্ত রাখব।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দীন স্টেডিয়ামে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার এক বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপার সম্ভাবনাময় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে দস্যুরা পর্যটকদের জন্য যেমন ভয়ঙ্কর ছিল তেমনি সুন্দরবনের ওপর নির্ভর হয়ে যারা জীবিকা নির্বাহ করতো তাদের কাছেও ভয়ঙ্কর নাম ছিল। সেই সুন্দরবন আজ দস্যুমুক্ত। শুধু দস্যুমুক্তই হয়নি, এখন জেলেরা কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই সুন্দরবনে যাচ্ছেন। হাজার হাজার পর্যটক সুন্দরবনে নিরাপদে ঘুরতে পারছেন। সুন্দরবনে দস্যু দমনে সফল হয়েছে সরকার।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো কেন এই দস্যুতায় যায়? গ্রামের মোড়ল, গ্রামের যারা নেতৃত্ব দেয়, তাদেরই কয়েকজন এই নিরীহ মানুষদের বাধ্য করে ভয়ঙ্কর এই পেশায় যাওয়ার জন্য। কাউকে ছাড় দেব না। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি আছে। চিহ্নিত করে একে একে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যেসব দস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন, তাদের মতো উসকানি দাতারাও সাবধান হয়ে যান। তা না হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ।
Advertisement
অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, এখন আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের বড় সমস্যা হলো তাদের নামে বিভিন্ন মামলা পরিচালনা করা। সরকারিভাবে বনদস্যুদের যে সহযোগিতা করা হয়েছে তা যদি মামলা পরিচালনায় খরচ হয়ে যায় তাহলে অসহায় হয়ে পড়বে তারা। হত্যা ও ধর্ষণ মামলা ছাড়া অন্য মামলাগুলো থেকে বনদস্যুদের মুক্তি দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাই আমি। একই সঙ্গে বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারদের কাছে আমার অনুরোধ আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের দেখে রাখবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামছুল হক টুকু এমপি, সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার প্রমুখ।
শওকত আলী বাবু/এএম/পিআর
Advertisement