নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামের ছেলে সিয়াম (১১)। বাবা মোহাম্মদ তোফাজ্জল সবজি বিক্রেতা। বাবা-মার চার সন্তানের মধ্যে সিয়াম ছিল তৃতীয়। পরিবারের সঙ্গে মিরপুর রূপনগর শিয়ালবাড়ী এলাকায় থাকত। ১৭ দিন পরই পিএসসি পরীক্ষা ছিল তার। তবে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হওয়ায় তার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনেকটাই অনিশ্চিত।
Advertisement
রূপনগরের বিস্ফোরণে আহত সিয়াম ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক তাহমিনা সাত্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন।
আগুনে সিয়ামের মুখ ও শ্বাসনালীর কিছু অংশ পুড়ে গেছে। আগামী ১৭ নভেম্বর তার পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
সিয়ামের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী চিকিৎসক সামন্তলাল সেন জানান, সিয়ামের মুখ ঝলসে গেছে। তার শরীরের ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। সামান্য ইনহেলেশন বার্ন (শ্বাসনালী) আছে। সে আশঙ্কামুক্ত থাকলেও তাকে হাসপাতালে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে আপাতত।
Advertisement
দগ্ধ সিয়ামের বাবা তোফাজ্জল বলেন, ‘সিয়াম রূপনগর এলাকার অ্যাডাম স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। নভেম্বরের ১৭ তারিখে তার পিএসসি পরীক্ষা। বিস্ফোরণে তার মুখমণ্ডলসহ বুকের কয়েক জায়গা আগুনে ঝলসে গেছে। সে আর পরীক্ষা দিতে পারবে না বলে মনে হয়।’
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর থানার শিয়ালবাড়ী বস্তির শিশুরা গিয়েছিল বেলুন কিনতে। ভ্যানগাড়িতে করে বেলুন বিক্রি করতেন ওই বেলুনওয়ালা। তিনি সিলিন্ডারের গ্যাসে ফোলাতেন বেলুন। সিলিন্ডারটি ওইদিন বিস্ফোরিত হয়।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট সাতজন শিশু নিহত হয়েছে। তারা হলো-নিহাদ, রিয়া, শাহিন, নূপুর, ফারজানা, জান্নাত ও রমজান। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন। বর্তমানে সাতজন ঢামেকে চিকিৎসাধীন আছেন।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় বেলুনবিক্রেতা আবু সাঈদকে (৩০) প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তাকে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে ঢামেকে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
এআর/এসআর/এমএস