আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে ট্রেনে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৭৩

পাকিস্তানে একটি চলন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ জনে। এছাড়া আহত আরও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

জেলা সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে দেশটির জাতীয় দৈনিক ডন এক অনলাইন প্রতিবেদনে নিহতের সর্বশেষ এ সংখ্যা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার তেজগাম নামের ট্রেনটির ভেতর চুলা জ্বালিয়ে রান্নার সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে তা থেকে গোটা ট্রেনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার সকালে সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডি যাওয়ার পথে পাঞ্জাব প্রদেশের লিয়াকতপুর শহরের পাশে তেজগাম নামের ওই ট্রেনটিতে বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ইয়াসমিন রশিদ এএফপিকে বলেছেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।

হতাহত অধিকাংশকে লিয়াকতপুর জেলা সদরের ডিএইচকিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাশগুলো মর্গে রাখা হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের বাহাওয়ালপুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ বলেছেন, ‘সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের মাধ্যমেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূতপাত্র। বৃহস্পতিবার সকালে তাবলীগ জামাতের একদল মুসল্লি গ্যাস সিলিন্ডার চালিত চুলায় নিজেদের নাস্তা তৈরি করছিলেন। তখনই ট্রেনের ভেতর ওই সিলিন্ডার থেকে বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে তা গোটা ছড়িয়ে পড়ে।

এক ভিডিও বার্তায় মন্ত্রী বলেন, অনেকে জীবন বাঁচানোর জন্য ট্রেন থেকে লাফ দিতে গিয়ে আহত ও নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ রুপি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ৫ লাখ রুপি প্রদান করা হবে।

রেলমন্ত্রী ওই ভিডিও বার্তায় আরও জানিয়েছেন, যে দুটি কামরা থেকে আগুনের সূত্রপাত সে দুটি কামরা তাবলীগ জামাতের আমির হুসেইনের নামে বরাদ্দ ছিল। রেল মন্ত্রণালয় ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের একটি তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। হতাহতদের উদ্ধারে এবং আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া ছাড়াও দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

গত জুলাইয়ে পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানের সিদ্দিকাবাদ নামক শহরে আকবর এক্সপ্রেস ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে ২০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানিসহ আরও ৮০ জন আহত হয়। এর আগে জুনে সেখানে এক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আরও তিনজন।

      View this post on Instagram    

The fire was caused by a cylinder blast that occurred in the morning when passengers were preparing their breakfast, Railways Minister Sheikh Rashid said. Many people saved their lives by jumping off the train, the minister said. #DawnToday

A post shared by Dawn Today (@dawn.today) on Oct 30, 2019 at 10:34pm PDT

এসএ/এমকেএইচ