বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টিভি পর্দায় অভিষেক। তারপর আরো কয়েকটি বিজ্ঞাপনে কাজ করে সকলের নজরে আসেন। এভাবে বিজ্ঞাপন থেকে নাটকে কাজ করেন। তারপর নিজেকে ঠিকঠাক মেলে ধরার জন্য চলচ্চিত্রে দিনে মনোনিবেশ করেন। ২০০৯ সালে শাহীন সুমনের পরিচালনায় ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’ ছবির মাধ্যমে প্রথম রূপালী পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর। এরপর শুধুই চলচ্চিত্রে কাজের মাধ্যমে এগিয়ে গেছেন। বলছিলাম রূপালী পর্দার হালের জনপ্রিয় নায়ক সাখাওয়াত হোসেন নিরবের কথা।আসছে ঈদ নিয়ে জনপ্রিয় এই নায়ক তার ঈদ পরিকল্পনা, বাল্যকালের ঈদের স্মৃতি, কোরবানির ঈদের পশু কেনার অভিজ্ঞতা নিয়ে আলাপে জমে ওঠেন জাগো নিউজের বিনোদন বিভাগে। সঙ্গে ছিলেন নাহিয়ান ইমন-জাগো নিউজ : এবারের ঈদ কোথায় কাটাবেন?নিরব : আমি বরাবরই ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করি। এবারও তাই হচ্ছে। কাজের যতোই চাপ থাকুক না কেনো বছরের দু’টো ঈদ সবসময়ই পরিবারের সাথে কাটানোর চেষ্টা করি। তাই এবারও পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে হই-হুল্লোড়ে ঈদ উদযাপন করবো ইনশাল্লাহ।জাগো নিউজ : কোরবানির ঈদে পশু কিনতে হাটে গিয়েছেন কখনো?নিরব : আমি বাবা-মার ছোট ছেলে। যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন আমাকে পরিবার থেকে হাটে যেতে দিতো চাইতো না। কিন্তু আমিও ছিলাম নাছোড়বান্দা! বায়না ধরতাম আমি যাবোই। অবশেষে নিয়ে যেতো। ছোটবেলা থেকেই আমি সবসময় নিজে হাটে উপস্থিত থেকে গরু কিনতে যেতাম। এখনো কিনি। এবারো কিনেছি। জাগো নিউজ : কোরবানির জন্য গরু কবে কিনলেন?নিরব : আসলে শহরে আগে থেকেই পশু কিনে রাখলে সেটা রাখার জন্য স্থান সংকুলান দেখা যায়। এটা একটা বড় সমস্যা। সেজন্য একটু দেরিতে ক্রয় করি। আমরা মঙ্গলবার গরু কিনেছি। জাগো নিউজ : অন্যান্য কেনাকাটা শেষ নিশ্চয়ই?নিরব : অনেকটা শেষ করেছি। তবে এখনো কিছু বাকি আছে। তাছাড়া চার বছর পর আমার মেঝভাই দেশে আসছেন। সেজন্য তাকে নিয়ে আরো কিছু কেনাকাটা করবো ভেবে রেখেছি।জাগো নিউজ : ছোটবেলার ঈদ আর এখনকার ঈদ উদযাপনের মধ্যে পার্থক্যটা কেমন?নিরব : ছোটবেলার ঈদের দিনগুলোর কথা মনে পড়লে সেইসব সময়কে বড্ড মিস করি। আমাকে সবাই ভীষণ আদর করতো কারণ আমি ছিলাম পরিবারে সকলের ছোট। প্রায় সবাই আমকে নতুন ড্রেস কিনে দিতো। ঈদের নামাজ পড়ে এসে সকলের কাছ থেকে সেলামি পেতাম বন্ধুদের নিয়ে সারাদিন ঘুড়ে বেড়াতাম অনেক সময় দলবেঁধে ছবি দেখতে যেতাম। আর এখন জীবনে কিছুটা বাধ্যবাধকতা চলে এসেছে। সবাইকে সেলামি দিতে হয়, উপহারও দেয়া লাগে। এছাড়া পরিবারকে সময় দিতে হয়।জাগো নিউজ : ঈদের দিনের পরিকল্পনা কী?নিরব : এবারে ঈদে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। ঈদের নামাজ শেষে যথারীতি পশু কোরবানির কাজ সেরে, ঠিকভাবে বণ্টন করে গুছিয়ে উঠতেই হয়তো বেলা গড়াবে। এরপর পরিবারের সাথে সময় কাটাবো এবং সন্ধ্যায় হয়তো আত্মীয়-পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা করবো, আড্ডা দেবো। তাছাড়া টেলিভিশনে অনেকগুলো ঈদের অনুষ্ঠান হয় সেসব দেখবো। এভাবে কেটে যাবে এবারের ঈদের দিন।জাগো নিউজ : ঈদে কী কী কাজ করলেন?নিরব : এবারের ঈদে আমার অভিনীত ‘ভোলা যায় না তারে’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সাময়িক কিছু কারণে ছবিটি ঈদের পরে মুক্তি দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া অনেকগুলো টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান করেছি। কয়েকটা ম্যাগাজিনে অংশ নিয়েছি। রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানেও কাজ করেছি। এছাড়া বেশ কয়েকটি টক-শোতেও অংশ নিয়েছি। মোটামুটি বলা যায়, এবারের ঈদে দর্শকরা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ঈদ অনুষ্ঠান মালায় বেশ সরব উপস্থিতি পাবেন আমার।জাগো নিউজ : বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করছেন। সেগুলোর কী অবস্থা?নিরব : আপাতত আমার হাতে আছে ৫টি ছবি। এরমধ্যে রয়েছে আহমেদ আলী মন্ডলের ‘প্রবাসীর প্রেম’, ওয়াকিল আহমেদের ‘লাভ ইন কোরিয়া’, জাকির খানের ‘রাঙা মন’, রফিক শিকদারের ‘ভোলা তো যায় না তারে’ এবং সাইফ চন্দনের ‘টার্গেট’। বেশিরভাগ ছবিরই শুটিং শেষ। চলছে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ।জাগো নিউজ : অনেক ধন্যবাদ সময় দেওয়ার জন্য। সাথে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা...নিরব : আপনাকেও ধন্যবাদ ও ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। সেইসাথে জাগো নিজের সাথে জড়িত সকল সাংবাদিক ভাইকে এবং পাঠকদের প্রতি জানাই অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।এলএ/এসএইচএস/পিআর
Advertisement