মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ২০২০ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। বুধবার (৩০ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তালিকাটি প্রকাশ করে।
Advertisement
আগামী বছর সাধারণ ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে ২২ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ৮দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০২০ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দেয়া হয়।
সাধারণ ছুটি
সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে- ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে মে দিবস, ৬ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ২২ মে জুমাতুল বিদা, ২৫ মে ঈদুল ফিতর, ১ আগস্ট ঈদুল আজহা, ১১ আগস্ট শুভ জন্মাষ্টমী, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২৬ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ৩০ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।
Advertisement
নির্বাহী আদেশে ছুটি
আগামী বছরের ৯ এপ্রিল শবে বরাত, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ২১ মে শবে কদর, ২৪ ও ২৬ মে ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দিন, ৩১ জুলাই ও ২ আগস্ট ঈদুল আজহার আগে ও পরের দিন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর আশুরার দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।
ঐচ্ছিক ছুটি
ঐচ্ছিক ছুটির (মুসলিম পর্ব) মধ্যে রয়েছে- ২৩ মার্চ শবে মেরাজ, ২৭ মে ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন, ৩ আগস্ট ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন, ১৪ অক্টোবর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ২৭ নভেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।
Advertisement
হিন্দু পর্বের ঐচ্ছিক ছুটির দিনগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২৯ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা, ২১ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি ব্রত, ৯ মার্চ দোলযাত্রা, ২২ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ২৫ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী), ৩০ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ১৪ নভেম্বর শ্যামাপূজা।
এছাড়া ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ২৬ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ৯ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার, ১১ এপ্রিল পুণ্য শনিবার, ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিস্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি।
ঐচ্ছিক ছুটির (বৌদ্ধ পর্ব) মধ্যে রয়েছে- ৮ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ৪ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ২ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ১ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে- ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।
ছুটির আদেশে বলা হয়েছে, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে সর্বোচ্চ ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যাবে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।
যে সব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যে সব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে।
আরএমএম/এমএসএইচ/পিআর