ভ্রমণ, বিদেশে প্রশিক্ষণ, আপ্যায়ন, সম্মানী, জ্বালানি খরচসহ সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে বিভিন্ন খাতে থোক বরাদ্দ দেয়া হয়। ওইসব খাতে ব্যয় তখন অস্পষ্ট থাকে। ফলে দুর্নীতি, অপচয়ের সুযোগ তৈরি হয়। তাই এখন থেকে উন্নয়ন প্রকল্পে থোক বরাদ্দ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ভ্রমণ, আপ্যায়নসহ বিভিন্ন খাতে থোক বরাদ্দ দেয়া হয়। এটা মানা হবে না। থোক হিসেবে আসা ব্যয় আমরা ভাঙব।’
উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় যেন এখন থেকে কোনো খাতে থোক বরাদ্দ না থাকে, তা দেখার জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে লিখিত নথিও জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, ‘যখনই একটা প্রকল্প আমাদের কাছে গড়িয়ে গড়িয়ে আসে, তখন তারা অল্পতেই মনে করে- বোধহয় ধরে বসে আছে। আমাকে তখন ফোন করে তারা। বলে, দেরি হয়ে যাচ্ছে। দুই-তিনশ পাতার একটা বড় ভলিউম একজন কর্মকর্তাকে দেখতে হয়, তাকে সময় দিতে হবে তো, তাই না? তারা সময় দিতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেরি করলে তারা বলবে, উন্নয়নে বাধা হচ্ছে। আমিও বলব, তারা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করুক। আমাদের উদ্দেশ্যও গতি অর্জন করা। কিন্তু গতি অর্জন করতে গিয়ে তো মেরে ফেলতে পারি না।’
পিডি/এমএসএইচ/জেআইএম
Advertisement