সব জল্পনা-কল্পনা শেষে আইসিসি কর্তৃক দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় এক বছরের শাস্তি স্থগিত করা হয়েছে। ফলে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর পুনরায় সবধরনের ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি।
Advertisement
এই সময়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ মিস করতে যাচ্ছেন সাকিব। জাতীয় দলের নিয়মিত এ তারকা ক্রিকেটারকে ছাড়াই আগামী ৩৬৫ দিন কাটাতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে।
সবার আগে আসন্ন ভারত সফরটি খেলতে হবে সাকিবকে ছাড়াই। আগামীকাল (বুধবার) দুপুরে দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের।
এই সফরের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। সবকিছু ঠিক থাকলে টেস্ট দলেও নেতৃত্বভার পড়তো তার ওপর। কিন্তু আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ায় এখন আর ভারত সফরে যাওয়া হবে সাকিবের। এছাড়া আরও অনেক সিরিজই বাইরে থাকতে হবে তাকে।
Advertisement
আগামী এক বছরে যেসব সিরিজ খেলা হবে না সাকিবের
*ভারত সফর: নভেম্বর, ২০১৯ *পাকিস্তান সফর: জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (সম্ভাব্য)*অস্ট্রেলিয়া সিরিজ: ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (পরিবর্তিত সূচিতে এটি হবে জুন মাসে)*জিম্বাবুয়ে সিরিজ: মার্চ, ২০২০*আয়ারল্যান্ড সফর: মে-জুন, ২০২০*শ্রীলঙ্কা সফর: জুলাই-আগস্ট, ২০২০*নিউজিল্যান্ড সিরিজ: আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ২০২০*নিউজিল্যান্ড সফর: অক্টোবর, ২০২০*টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: অক্টোবর, ২০২০
তবে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি হতে যাচ্ছে ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার একটা সম্ভাবনা থাকছে সাকিবের সামনে। তবে বাস্তব চিন্তা করলে, আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্তই মাঠের বাইরে থাকতে হবে সাকিবকে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ও নিজের ফিটনেস ধরে রাখলে আগামী বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটবে সাকিব আল হাসানের।
Advertisement
এসএএস/জেআইএম