সোমবার মধ্যরাত থেকেই তোলপাড়। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে সেটাকে প্রত্যাখ্যান করলেও তথ্য গোপন করেছিলেন সাকিব আল হাসান। এ বিষয়ে তিনি আইসিসি কিংবা বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে (আকসু) কিছুই জানাননি। এ অপরাধে তার ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি হতে পারে।
Advertisement
তবে জানা গেছে, আইসিসির কাছে ভুল স্বীকার করায় শাস্তিটা হবে ১৮ মাসের। শেষ পর্যন্ত আইসিসি জানালো একবার নয়, তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। প্রতিবারই তিনি বিষয়টাকে গোপন করে গেছেন। কাউকে জানাননি। শেষ পর্যন্ত আইসিসির কাছে প্রমাণ পৌঁছে গেছে।
সে সব প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই সাকিব আল হাসানকে শেষ পর্যন্ত দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো আইসিসি। তবে শর্তাধিনভাবে আইসিসি তার ওপর থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা বাতিল ঘোষণা করলো।
আইসিসি একটি নয়, মোট তিনটি অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে। মোট তিনবার নাকি তার কাছে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল আকসুর ধারা ২.৪.৪-এর মধ্যে থেকেই এই তিনটি অপরাধ করেছিলেন সাকিব। যেগুলো হচ্ছে-
Advertisement
১. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের যে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল কিংবা ২০১৮ আইপিএলে প্রথম ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে কোনো কিছুই জানাননি।
২. একই ধারার অধীনে অপরাধ : ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ই আরো একটি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসিকে অবহিত করেননি।
৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসি কিংবা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন সংস্থাকে কিছুই জানাননি।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement