বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তার রুমমেট মিজানুর রহমান মিজানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
মঙ্গলবার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর কারাগার থেকে মিজানকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আবরার হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য মিজানকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১০ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে মিজানকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। মিজান বুয়েটের ওয়াটার রিসোর্স অ্যান্ড প্ল্যানিং বিভাগের শিক্ষার্থী। পরে ১১ অক্টোবর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
Advertisement
এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া প্রয়োজনে মিজানের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে আদালতকে জানান তিনি।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জেএ/এমএসএইচ/এমএস
Advertisement